শনিবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৯

ঝরা বসন্ত

রাহেলা আক্তার
ঝরা বসন্ত

কোনো এক বসন্তে ভাদ্রের তপ্ত দুপুরেÑ

রেলের গলিতে দেখা হয়েছিল

সেই প্রথম, সেই শেষ প্রণয়ের আভাস।

ঘর্মাক্ত দেহের ক্লান্ততায়, বিন্দু বিন্দু জল

শহরজুড়ে জ্বলছে ঝলমল।

এক সাম্রাজ্যজুড়ে স্বপ্ন বুনন

নিপুণ হাতে সৃষ্টি যেনো স্বর্গীয় কানন।

এই বুঝি সারাটি বসন্ত সুবাস ছড়াবেÑ

ভাবিনি কখনো ভাদ্রের তপ্ত দুপুর

আমায় অতোটা পোড়াবে।

কাটে যখন সুপ্তের ঘোর,

নিঃশেষ হলো বসন্তের জোর।

ছবি-২৩

আসাদুজ্জামান খান মুকুল

চিরচেনা অঘ্রাণে

সজীবতার গান গেয়ে হেমন্ত এসেছে দ্বারে,

কুয়াশার মোলায়েম চাদর আদরে জড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতির গায়।

ঘাসের শিরে শিশির ঝিকিমিকি করে আলোকের সঙ্গমে!

প্রভাতের আলো তার উপরে মেখে দিয়েছে যেন সোনালি রঙের প্রলেপ।

নীল অম্বরও আজ মিতালী গড়ে মিশেছে সুদূর দিগন্ত পরে।

কাননে কামিনী পারুল গন্ধরাজে ছড়িয়েছে ঘ্রাণ হেমন্ত এসেছে বলে।

অবারিত মাঠে দোলে উঠেছে সোনালী ধান,

আনন্দের বাতাবরনে কৃষকের মুখে ফুটেছে মধুর হাসি।

মহা ধুমধামে চলেছে ধান কাটার মহোৎসব।

নবান্নে যেন বাংলার বুকে বসেছে চঁাদের হঁাট।

গৃহিণীরা ঘরে মনের জৌলুসে করেছে পিঠা আর পায়েস।

কিশোরীদের নিপুণ হস্তে পাঠিশাপটা কাটা পিঠায় ফুটছে কারুকার্যে খেলা।

পাড়ায় পাড়ায় জমছে রঙের মেলা,

রজনী মাতায় বাউলের আর যাত্রা গানের আসরে।

মহা জৌলুসে হেমন্ত এসেছে। খোলে দিয়েছে যেন বাঙালির সম্মুখে সম্ভাবনার দুয়ার।

চিরচেনা এই বাংলার অঘ্রাণে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়