রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:৫১

আশ্বিন মাসে সবজি ও ফল চাষে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা

কৃষিকণ্ঠ প্রতিবেদক
আশ্বিন মাসে সবজি ও ফল চাষে কৃষকদের কর্মব্যস্ততা

বাংলা পঞ্জিকার হিসাব মতে আশ্বিন মাস চলছে। এই সময়টি সবজি, ফলদ, মসলা ও ফুল চাষের জন্যে উপযোগী হওয়ায় কৃষক-কৃষাণীরা মাঠে এবং ছাদবাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কৃষি অফিস জানান, রবি বা শীতকালীন সবজি যেমন বাঁধাকপি, ফুলকপি, লাউ, শিম, টমেটো, ওলকপি, শালগম, ব্রোকলি, লেটুস, ব্রাসেলস স্প্রাউট, উন্নত জাতের বেগুন ইত্যাদির বীজ বপন ও চারা পরিচর্যার উপযুক্ত সময় এখন। এছাড়া ছাদবাগানেও ড্রাম বা টবে লালশাক, পালংশাক, পুঁইশাক চাষ করে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটানো সম্ভব।

কৃষক মিজান জানান, লাউ ও শিমের মতো লতানো সবজি চাষের জন্যে উঁচু বেড বা টবে জৈব সারের সাথে নির্দিষ্ট পরিমাণ রাসায়নিক সার মিশিয়ে মাটি প্রস্তুত করার পর বীজ বপন করে থাকি। চারাগাছ বেড়ে উঠলে মাচান তৈরি ও সময়মতো হাত-পরাগায়নের মাধ্যমে ভালো ফলন নিশ্চিত করা যায়। এছাড়া রসুন ও পেঁয়াজের বীজ লাগিয়ে চারা করলে সারাবছর নিজস্ব উৎপাদন থেকে চাহিদা মেটানো সম্ভব।

নাছির আখন জানান, আশ্বিন মাসে কলা চারা রোপণেরও উপযুক্ত সময়। বিশ্বস্ত উৎস থেকে সংগৃহীত কলার সাকার বা অসি চারা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে রোপণ করতে হয়। পাশাপাশি কলা বাগানে সাথী ফসল হিসেবে রবি মৌসুমের ফসল চাষ করা যায়। শীতকালীন ফুলের মধ্যে গোলাপের চারা, শাপলা, পদ্ম, জুঁই, শিউলি, জবা, মালতি, বেলি ইত্যাদি ফুলও এ সময় লাগানো যায়।

কৃষি কর্মকর্তা জানান, বর্ষার শেষে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসে ও শুষ্কতা বাড়ে। তাই সবজির গোড়ার আগাছা পরিষ্কার করে সার প্রয়োগ করতে হবে। গাছের গোড়ায় মাটি তুলে দিতে হবে, যাতে পানি জমে রোগ না ধরে। বিশেষ করে ‘গোড়া পচা’ রোগ প্রতিরোধে বীজতলায় পানির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।

পোকামাকড় দমনে কৃষকদের হাতে বাছাই, ছাই ছিটানো, ফাঁদ ব্যবহার এবং জৈব কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। তবে আক্রমণ বেড়ে গেলে সীমিত আকারে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবহার করা যায়। এছাড়া পাখি-বান্ধব পরিবেশ তৈরি করলে শালিক, ফিঙ্গে প্রভৃতি পোকা খাদক পাখি ক্ষতিকর পোকা খেয়ে বাগান রক্ষা করে।

ফলন্ত গাছ যেমন লেবু, পেয়ারা, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, কমলা, আনারস প্রভৃতির গোড়ায় মাটি উঁচু করে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করলে গাছ রোগমুক্ত থাকে। আশ্বিন মাসের শেষে কার্তিক মাসের ফসল চাষের জন্যে কৃষকরা জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেন।

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. মোবারক হোসেন বলেন, নিয়মিত পরিচর্যা, সার ও পানি ব্যবস্থাপনা, আগাছা দমন এবং রোগবালাই প্রতিরোধের মাধ্যমে আশ্বিন মাসের ফসল চাষে কৃষকরা লাভবান হতে পারবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়