প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১১:৫৪
চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার : ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল
মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগের তৃপ্তি আজন্ম মনে লালন করতে চাই
|আরো খবর
চাঁদপুর কণ্ঠ : কেমন আছেন?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : আলহামদুলিল্লাহ। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমতে বেশ ভালো আছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শৈশব-কৈশোর কেটেছে কোথায়?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : আমার শৈশব-কৈশোর কেটেছে চাঁদপুরেই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার শিক্ষাজীবন সম্পর্কে জানতে চাই।
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করি। চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি এবং জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হওয়ার ভাবনাটি সূচনা হলো কীভাবে?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : আমার বাবা ছিলেন ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী। ফলে বাবাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে হতো। সেখান থেকেই মূলত চিকিৎসক হওয়ার ভাবনাটি মনে জন্মে। আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমি চিকিৎসক হিসেবে মানুষ সেবা দিতে পারছি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসক হিসেবে প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা বলুন।
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : মানুষের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে পেরে প্রথম দিন মনে হয়েছিলো আমার জীবন সার্থক। এ তৃপ্তি আজন্ম মনে লালন করতে চাই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে লাখো কোটি শোকরিয়া তিনি আমাকে মানুষের সেবায় কবুল করেছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরে যোগদান করেছেন কবে?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : ২০০৯ সালে চাঁদপুরে যোগদান করি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চাঁদপুরের চিকিৎসাব্যবস্থার সার্বিক দিক নিয়ে কিছু বলুন।
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : বিগত দিনগুলোর চেয়ে বর্তমানে চাঁদপুরের চিকিৎসাব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখনও আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। তবে আমাদের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টার কমতি নেই।
চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার কাছে কোন্ ধরনের রোগী বেশি আসে?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : আমি প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করি না। হাসপাতালে কেবলমাত্র সার্জারি বিষয়ক রোগী দেখি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগীদের কাছে আপনার প্রত্যাশা কি?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : যথাযথ সম্মান। চিকিৎসকের প্রতি রোগীদের শ্রদ্ধাবোধ অত্যন্ত জরুরি।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাজীবনের একটি সুখের এবং একটি দুঃখের স্মৃতির কথা বলুন।
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : চিকিৎসকের সুখের সময় তখনই যখন একজন মুমূর্ষু রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়। কষ্ট তখন হয় যখন অনেক চেষ্টার পরও চোখের সামনে রোগীর মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর কণ্ঠ : চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে কী কী প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন?
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : আমাদের মতো দেশে সীমাবদ্ধতা অনেক, তা-ও আমরা চেষ্টার ত্রুটির করছি না।
চাঁদপুর কণ্ঠ : রোগমুক্ত জীবনযাপন করতে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
ডাঃ মোহাম্মদ রফিকুল হাসান ফয়সল : সুস্থতা আল্লাহ তাআলা অশেষ নিয়ামত। মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে। মানুষের অসুস্থ হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খাদ্য-পানীয় গ্রহণে বেপরোয়া হওয়া। এজন্য অতিভোজন ও স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্য থেকে বিরত থাকা জরুরি। খাদ্যদ্রব্য সর্বদা ঢেকে রাখতে হবে। সুস্থ জীবন-যাপনে অলসতা ত্যাগের বিকল্প নেই। মানসিক উৎকণ্ঠা ও অস্থিরতার পরিবর্তে মানসিক ও দৈহিক সুস্থতা রোগমুক্ত থাকার পূর্বশর্ত। কারণ মানসিক প্রশান্তি ও উৎফুল্লতা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সুস্থ থাকার জন্য সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পরিবেশ আবশ্যক। পরিবেশ দুষণের মাধ্যমে রোগ-ব্যাধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখা জরুরি।ছবি : ২৮
শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব
ডাঃ রাশেদুল হাসান মাহমুদ
শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো খুবই জরুরি। তাই অভিভাবকদের খেয়াল রাখতে হবে তার সন্তানকে যেন অবশ্যই ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।
শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা-
১. শিশুর রাতকানা ও অন্ধত্ব রোগ প্রতিরোধ করে।
২. শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৩. অন্ধত্বের চারটি প্রধান কারণের মধ্যে ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবজনিত কর্ণিয়ার রোগ ও কর্ণিয়ার ক্ষত অন্যতম। এই ভিটামিনটির অভাবে আপনার শিশু রাতকানা হয়ে চিরদিনের জন্য অন্ধ হয়ে যেতে পারে।
৪. এই ভিটামিন দৃষ্টিশক্তি স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৫. ত্বক ও শ্লৈষ্মিক ঝিল্লির স্বাস্থ্যরক্ষার কাজ করে। দেহ বৃদ্ধি, বিশেষ করে দেহের অস্থি কাঠামোর বৃদ্ধি প্রক্রিয়ার সঙ্গে ভিটামিন ‘এ’-এর সংযোগ রয়েছে।
৬. ভিটামিন ‘এ’ জীবাণু সংক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।
কীভাবে খাওয়াবেন-
শিশুকে অবশ্যই ভরা পেটে এই ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভেতরে থাকা তরল ওষুধ চিপে খাওয়ানো হয়। তাই জোর করে বা কান্নারত অবস্থায় ক্যাপসুল খাওয়ানো ঠিক নয়। এতে ক্যাপসুলের তরল লালার সঙ্গে বেরিয়ে যেতে পারে।