শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২৫, ২২:০৪

গুদামজাত করতে না পেরে কৃষকরা হতাশ

শাহরাস্তিতে বোরো ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম

শাহরাস্তিতে বোরো ধান উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম
মো. মঈনুল ইসলাম কাজল

শাহরাস্তি উপজেলায় বোরো ধান লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন হয়েছে। এতে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই স্বস্তিতে ঘরে ধান তুলতে পেরে অনেকেই মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করেন।

শাহরাস্তি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সূত্র মতে, শাহরাস্তিতে এবারের বোরো মৌসুমে ৯ হাজার ৮ শ' ৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হয়েছে। এতে ৫ হাজার ৫ শ' ৮০ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড ও ৪ হাজার ২ শ' ৮০ হেক্টর জমিতে উফশী প্রজাতির ধান চাষাবাদ করা হয়।

ধান কর্তন শেষে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, এ বছর উৎপাদিত ধানের পরিমাণ ৪৫ হাজার ৯ শত ৬০ মেট্রিক টন, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার ২ শ' ১২ মে. টন বেশি।

উপজেলা কৃষি অফিস বলছে, এবারের মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে ছিলো। এছাড়া রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। কৃষকদের মাঝে যথাসময়ে সার বীজ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সঠিক সময়ে উপকরণ বিতরণ করার কারণে কৃষকদের হয়রানি হতে হয়নি। যথাসময়ে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে। কৃষি অফিস বলছে, উচ্চ ফলনশীল নতুন জাতের কারণেই বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে অনেকেই দাবি করেন, গত বছরের বন্যায় যে পরিমাণ পলি জমেছে সেজন্যে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার জানান, উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী শতভাগ আবাদ করতে পেরেছি। মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে সঠিক সময়ে সঠিক ব্যবস্থাগ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া পুরাতন জাত পরিবর্তন করে নতুন জাতের সম্প্রসারণ করায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামীতে কৃষি উৎপাদনের এই ধারা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে উপজেলা খাদ্য অফিস থেকে কৃষকদের মাঝ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। খাদ্য অধিদপ্তর থেকে ৭ শ' ৪ টন ধান সংগ্রহের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ পর্যন্ত ধান সংগ্রহের জন্যে ৫ শ' ৮৯ জন কৃষককে মনোনীত করা হয়েছে। সরকারি হিসেবে প্রতিজন কৃষক থেকে ৩ টন করে ধান সংগ্রহ করা যাবে। সে হিসেবে ৫ শ' ৮৯ জন কৃষক থেকে ১৭ শ' ৬৭ টন ধান সংগ্রহের কথা থাকলেও সংগ্রহ করা যাবে মাত্র ৭ শ' ৪ টন।

শাহরাস্তি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহীদ সরোওয়ার্দী জানান, ৩ শ' ৫৪ জন কৃষক থেকে ১ হাজার ৬৩ টন ধান সংগ্রহ করা যাবে না। এদিকে প্রতিদিন সাধারণ কৃষক গুদামে ধান নিয়ে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন । চাহিদা ও উৎপাদনের তুলনায় ধান সংগ্রহ অভিযান অপ্রতুল থাকায় কৃষকদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ভোগান্তির শিকার হতে দেখা গেছে অনেককেই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে অনেক কৃষক উপকৃত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়