বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৮ মে ২০২২, ১৭:২৪

শ্রীনগর বাগড়া পদ্মা নদী হতে আড়িয়াল বিল পর্যন্ত খালটি ভরাট

আব্দুল মান্নান সিদ্দিকী
শ্রীনগর বাগড়া পদ্মা নদী হতে আড়িয়াল বিল পর্যন্ত খালটি ভরাট

মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাগড়া পদ্মা নদী হতে আড়িয়াল বিল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার খালটির মুখ বন্ধ থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই নিচু ভূমিতে বাড়িঘরে বসবাসরত জনগণ জলবন্দিহয়ে পড়ে। এখালের দুপাশে ২ হতে ৫নং ওয়ার্ডের বাঘরা ইউনিয়ন শত শত বাড়িঘর রয়েছে।বসবাসরত বাড়িওয়ালারা খালটি দখলকরে নিজেদের ইচ্ছামত স্থাপনা ,,পারিবারিক রাস্তা, কালভাট , টয়লেট নির্মাণ করেনিজ সম্পত্তিপরিণত করে ব্যবহার করছেন।খালটির বিভিন্ন স্থানে বাধ দেওয়ায় খালটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছেফলেখালদিয়ে পানি সরবরাহের কোনো পথ খোলা নেই । এছাড়াও এখালে বাড়ির পচা আবর্জনার নোংরা ফেলা হয়, গরু-ছাগলের মলমূত্র ভাসতে দেখা যায়। এতে এলাকার পরিবেশ ও বায়ু দূষিত হচ্ছে। জনগণের স্বাস্থ্যহানীর ঝুঁকি রয়েছে, দুর্গন্ধ হতে রক্ষা পেতে পথচারীদের নাকে রুমাল বাঁধতে দেখা যায় । এই খালটি পূর্বে এতই প্রশস্ত ছিল বর্ষাকালে নৌকাও ছোট ছোট লঞ্চ চলতো । সেই লঞ্চের চরে জনগণ ঢাকা যেতেন। জেলেরা জাল দিয়ে প্রচুর পরিমাণ মাছ ধরতেন। শুকনা মৌসুমে রাখাল গরুর পাল নিয়ে যেতেন আড়িয়াল বিলে গরুকে ঘাস খাওয়াতে। গোধূলি লগনে রাখাল দলবেঁধে খাল দিয়ে যখন ঘরে ফিরছেন তখন গোপালের পদচারণায় আকাশ ধুলায় ভরে যেত। এ খালটির মাধ্যমে বোরো ধানের মৌসুমে পদ্মা নদীহতে পানি সেচ দেওয়া হতো সে পানি আড়িয়াল বিল পর্যন্ত পৌছাতো ।এখন সেই খালটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে খালটি ভরাট হওয়ার কারণে একটুখানি বৃষ্টি হলেই নিচু এলাকার বসবাসকারী বাড়ী ঘরগুলো পানিতে তলিয়ে জলাশয়ের সৃষ্টি হয়। এ খালটি ছাড়াও বাগড়া বাজারে পশ্চিম দিকে অবস্থিত। খালটি দিয়ে জাহানাবাদ, ছত্রভোগ কৃষকরা পদ্মা নদী হতে বোরো ধানের পানি সেচ নিষ্কাশন করতেন। দুটি খাল উন্মুক্ত থাকলে জলাশয় হতে ভুক্তভোগীরারক্ষা পেতেন।কৃষক পেতেন পর্যাপ্ত সেচের পানি। এ ব্যাপারে ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুজ্জামান এ প্রতিনিধিকে জানান, ভুক্তভোগীরা এই ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদকে অবগত করলে। ইউনিয়ন পরিষদ সহকারী কমিশনার ভূমিকে অবগত করলে তিনি ব্যাপারটি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়