মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮

যে কারণে সরকারি পুরস্কার ফেরালেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী

অনলাইন ডেস্ক
যে কারণে সরকারি পুরস্কার ফেরালেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী

পশ্চিমবঙ্গের আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করার এই ঘটনার রেশ পুরো ভারতে ছড়িয়ে গেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি পুরস্কার ফেরালেন অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তার এই সিদ্ধান্তকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। স্বস্তিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘স্যালুট সুদীপ্তা চক্রবর্তী। ২০১৩ সালে উনি রাজ্য সরকারের থেকে সিনেমায় অবদানের জন্য একটি পুরস্কার পেয়েছিলেন। আজ আই অ্যান্ড সি মিনিস্ট্রিকে (তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ) ই-মেইল করে সেই পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন তিনি। যে যার নিজের মতো করে প্রতিবাদ চালিয়ে যান।’

আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রথম দিন থেকেই সরব স্বস্তিকা। অভিনেত্রীর মন্তব্য, ‘আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। কতটা যন্ত্রণা সহ্য করে মেয়েটিকে মারা যেতে হয়েছে, মেয়ে হিসেবে ভাবলেই আমার গা শিউরে উঠছে। আমি চাইব, আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রকৃত অর্থেই এর সমাধান করুন। যাতে ওর প্রতি আমাদের ভরসা থাকে।’ এদিকে রাজ্য সরকারের দেওয়া দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার ফেরানোর আবেদন জানিয়ে ই-মেইল করেন প্রবীণ নাট্যব্যক্তিত্ব চন্দন সেন। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গ নাট্য একাডেমি পুরস্কার ফেরত পাঠাচ্ছেন অভিনেতা বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়ও। জাস্টিস ফর আর জি কর’- শহর কলকাতার বুকে একটাই ধ্বনি। তিন সপ্তাহ ধরে ন্যায়বিচারের জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছেন সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ক্রমশই এই আন্দোলন বড় আকার ধারণ করছে।

উল্লেখ্য, গত ৯ আগস্ট ভোরের দিকে কলকাতার শ্যামবাজার এলাকায় অবস্থিত আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের বিশ্রামকক্ষ থেকে এক নারী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার হয়। পরে ময়নাতদন্তে জানা যায়, ওই চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছিল। তবে মরদেহ উদ্ধারের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছিল যে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। কর্তৃপক্ষের এই বক্তব্যের পর প্রথমে ফুঁসে ওঠে কলকাতা, পরে গর্জে ওঠে পুরো পশ্চিমবঙ্গ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়