প্রকাশ : ০১ জুন ২০২২, ১৩:৪০
ভারতের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী কে.কে. এর হঠাৎ মৃত্যু!
'ওম শান্তি ওম', 'আশিকি' 'দিল ইবাদত', 'তড়প তড়প', 'আঁখো মে তেরি', 'বাজরাঙ্গী ভাইজান', 'আশিক বানায়া', 'জারা সা', 'খুদা জানে', 'তু যো মিলা', 'তুহি ম্যেরি সাব হ্যে' -এমন অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পী কে কে ওরফে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ আর নেই। গতকাল ৩১ মে মঙ্গলবার ভারতের কলকাতার নজরুল মঞ্চে একটি কনসার্টে গান গাইতে গাইতে অসুস্থ হয়ে পড়লে হোটেলে ফিরে যান তিনি। অবস্থার আরও অবনতি হলে হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে সঙ্গীতশিল্পীর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর।
|আরো খবর
যদিও শিল্পীর মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও জানা যায়নি। তবে চিকিৎসকদের প্রাথমিক অনুমান, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। শোনা যাচ্ছে, শো শেষের পর একটি পাঁচতালা হোটেলের সিঁড়িতে পরে যান তিনি। এরপরেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, মৃত বলে ঘোষণা করা হয় তাঁকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, রাত ১০ টা মৃত হয় কেকে-র এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মৃত্যু হয়েছিল তাঁর।
সোমবার (৩০ মে) নিজের দল নিয়ে কলকাতায় আসেন কেকে। শহরে এসে সোশ্যাল পেজে সেই ছবি পোস্টও করেন তিনি। এই অনুষ্ঠান ঘিরে প্রায় মাসখানেক আগে থেকে ছিল উত্তেজনা। টিকিট কেনার জন্য চলছিল ফ্যানেদের মধ্যে উন্মাদনা। দিল্লিতে জন্ম সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের। তাঁর সম্পূর্ণ নাম কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ হলেও তাঁকে বেশিরভাগ মানুষ কেকে নামেই চিনতেন। নয়াদিল্লিতে তাঁর বেড়ে ওঠা এবং পড়াশোনা। জানা যায়, বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার জিঙ্গলস গেয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের জন্য 'জোশ অফ ইন্ডিয়া' গান গেয়েছেন তিনি। ১৯৯১ সালে ছোটবেলার ভালোবাসা জ্যোতিকে বিবাহ করেন কেকে। সদ্য প্রয়াত গায়ক কেকের পুত্র নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ তাঁর অ্যালবাম 'হামসফর'-এ একটি গান গেয়েছেন। তাঁর এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
বলিউডে কাজের সুযোগ পাওয়ার আগে ১১টি ভাষায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার জিঙ্গলস গেয়েছেন কেকে। এ.আর রহমানের হিট গান 'কাল্লুরি সালে'তে প্রথমবার গান গান কেকে। সেটিই ছিল প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গাওয়া তাঁর প্রথম গান। কেবলমাত্র হিন্দি গানই নয়, কেকে গান গেয়েছেন একাধিক ভাষায়। বাংলা, হিন্দি, তামিল, কণ্ণড়, মালয়ালাম, মারাঠি, অসমীয়া ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পীর আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র সাংস্কৃতিক জগতে। শোক জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ সংগীত বিশারদগণ।