প্রকাশ : ১৫ মার্চ ২০২৫, ০০:৫৪
সভাপতি পরিমল ঢালী, সাধারণ সম্পাদক নিরঞ্জন, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজীত
মুন্সিগঞ্জে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সম্মেলন
শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য জারি রেখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয় ------- শিক্ষক নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন

'শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করে সরকারি-বেসরকারি বৈষম্য দূর করুন' এ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতি মুন্সিগঞ্জ জেলা কমিটির ২য় সম্মেলন শুক্রবার (১৪ মার্চ ২০২৫) সকাল ১০ টায় পঞ্চসার ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি পরিমল চন্দ্র ঢালীর সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুশান্ত ভাওয়াল। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নূরে আলম বিপ্লব।
সম্মেলনে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন মো. দেলোয়ার হোসেন, সুজীত চন্দ্র খা, মো. মাহমুদ হাসান, সমরেশ গাইন প্রমুখ।
সম্মেলনে আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন সংগঠনের জেলা সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকার।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য জারি রেখে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তোলা দুঃস্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। সরকারি শিক্ষাখাতের ন্যায় এমপিওভুক্ত শিক্ষাখাতে একই পাঠক্রম, একই পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষকদের একই যোগ্যতায় রেখে বেতন বৈষম্য অব্যাহত রাখলে কখনই শিক্ষার উৎকর্ষ সাধন হবে না। শিক্ষা খাত বেসরকারি হওয়ার কারণে কোটি কোটি শিক্ষার্থী সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনেক গরীব শিক্ষার্থী অর্থ সংকটে লেখাপড়া থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। জাতিকে একই ধারায় গড়তে হলে বৈষম্য দূর করে শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ করতে হবে।
আর জাতীয়করণ আন্দোলন বেগবান করতে হলে বুর্জোয়া দলগুলোর লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক সংগঠন থেকে শিক্ষকদের মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। নতুবা শিক্ষকরা সময়ের পরম্পরায় উপেক্ষিত হবে এবং জাতীয়করণও বাধাগ্রস্ত হবে। তাই সহকারী শিক্ষকদেরকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির উপর আস্থা রাখতে হবে, জাতীয়করণ আন্দোলনকে জোরদার করতে হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধক সুশান্ত ভাওয়াল বলেন, আন্দোলন ব্যতীত এ পর্যন্ত কোনো দাবি আদায় হয়নি। আন্দোলনের তীব্রতা ভেদে দাবি আদায় হয়ে থাকে। তাই এমপিওভুক্ত শিক্ষকদেরকে আরও নিবিড়ভাবে আন্দোলনে যুক্ত হবে। দাবি আদায়ের সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে।
সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে পরিমল চন্দ্র ঢালীকে সভাপতি, নিরঞ্জন সরকারকে সাধারণ সম্পাদক ও সুজীত চন্দ্র খাঁকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
ডিসিকে/এমজেডএইচ