হাজীগঞ্জে কোটা সংস্কার আন্দোলনে দফায় দফায় ধাওয়া

হাজীগঞ্জে কোটা সংস্কারের দাবীতে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধকালে দফায় দফায় ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা ১টা থেকে বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত হাজীগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( হাজীগঞ্জ ফরিদগঞ্জ) সার্কেল পণ্জক কুমার দে, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদসহ ছাত্রলীগ অংশ নেয়। এতে করে প্রায় এক ঘন্টা চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ-কচুয়া সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে কোন রক্তপাতের খবর পাওয়া যায।

সরজমিনে দেখা যায়, এ দিন বেলা ১২ টার দিকে হাজীগঞ্জ বাজরস্থ চৌরাস্তা বিশ্বরোড এলাকায় প্রায় ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর আগে চারদিক থেকে শিক্ষার্থীরা এসে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালুর মাঠে জড়ো হয়। এর পরেই সবাই একত্রিত হলে পুলিশ প্রহরায় মিছিল নিয়ে পশ্চিম চৌরাস্তা বিশ্বরোড এলাকায় জড়ো হয়ে সড়কে বসে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা কৌটা বিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। কার্যত এ সময় চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ-কচুয়া সড়কের হাজীগঞ্জ বাজারে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীলসহ হাজীগঞ্জ সার্কেল পন্জক কুমার দে আন্দোলনকারীদের বারবার বুঝনোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন এভাবে প্রায় এক ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বেলা ১ টার দিকে পশ্চিম দিক থেকে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল আলম বেপারী সাধারন সম্পাদক মেহেদি হাসান রাব্বির নেতৃত্বে একটি মিছিল থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ সড়কে অবস্থানকারীদের ধাওয়া দিলে অন্দোলনকারীরা হাজীগঞ্জ বাজারে ডুকে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

এর পরের হাজীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী পরিচয়দানকারী মাইশাসহ ১০/১২ জন জনের একটি দল বড় মসজিদের সামনে অবস্থান নেয়। এরপরেই নারী শিক্ষাথর্থীর দলটি একটি মিছিল হাজীগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিন করে। পরে হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ওভারব্রীজে সড়ক অররোধ দেয় ৮/১০ জনের একটি দল। এর ১০ মিনিট পরেই পুলিশ ছাত্রলীগ এক হয়ে ধাওয়া দিলে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর পরেই আন্দোলনকারী ফের হাজীগঞ্জ পর্ব বাজারের বড় পুলের গোড়ায় ফের অবরোধে বসলে এখানে পুলিশ ছাত্রলীগের ধাওয়া খেলে ডাকঘর সড়ক ধরে পালিয়ে যায়। এভাবে ধাওয়ার পর ধাওযার ঘটনা চলে বেলা সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত। এর পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসে।

হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ জানান, পরিস্থিত পুরোপুরি শান্ত রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাপস শীল জানান, এ ঘটনায় কোন মামলা দাযের হয়না, কোন আহতের খবর পাওয়া যায়নি।

ধাওয়ার পর ধাওয়ার ঘটনা চলাকালে বাজারে অবস্থান করেন হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশফাকুল আলম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হায়দার পারভেজ সুজন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মাঈনুদ্দিন, চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) গোলাম ফারুক মুরাদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন জীবন প্রমূখ।