প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৫, ২৩:২৯
চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক একেবারেই ভগ্ন দশায়।। ঝুঁকিতে চলছে যানবাহন
টেন্ডার প্রক্রিয়ায় সময় লাগবে আরও ৩/৪ মাস, সাময়িক মেরামতের দাবি এলাকাবাসীর

চাঁদপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক (সাবেক বঙ্গবন্ধু সড়ক) এখন একেবারেই বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত, সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে পানি জমে বড়সড় জলাশয়ের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে এ সড়কে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছে হাজারো মানুষ ও যানবাহন চালকরা।
|আরো খবর
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করে ট্রাক, তেলের লরি, পিকআপ, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, অটোবাইকসহ ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন। ভারী যানবাহনের চাপ ও দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে সড়কের অবস্থা দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে মিশন রোডের অভিমুখ থেকে দর্জিঘাট পর্যন্ত সড়কের পিচ টালাই উঠে বড়ো বড়ো গর্ত সৃষ্টি হয়ে কাঁচা রাস্তায় রূপ নিয়েছে। এছাড়া তার পরের অংশ চাঁদপুর-রায়পুর সড়ক সংযোগ মুখ পর্যন্ত সড়কটির বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতে সড়কটি যে কোনো যানবাহন চলাচল করার একেবারেই অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, সড়কটির এ অবস্থা কোনোভাবেই সহনীয় নয়। রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশা চালকরা প্রতিদিন দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ ছাড়া গর্তে আটকে পড়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে, যা শহরের সার্বিক পরিবহন ব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
এদিকে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর করতে বেশ কিছুদিন পূর্বে প্রায় ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে পুনঃসংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের বাজেট অনুমোদিত হলেও এখনো টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ফলে কার্যকর সংস্কার কাজ শুরু হতে আরও ৩ থেকে ৪ মাস সময় লাগবে বলে জানা গেছে। কিন্তু তার আগে কোনো সাময়িক ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়নি। এলাকাবাসীর দাবি, প্রধান সড়কের এমন বেহাল অবস্থায় টেন্ডার প্রক্রিয়ার জন্যে অপেক্ষা না করে অন্তত বড়ো গর্তগুলোতে মাটি বা খোয়া ফেলে সাময়িক সমাধানের ব্যবস্থা করা জরুরি।
পৌরসভার দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন,
এই সড়কের উন্নয়ন কাজের জন্যে বড়ো প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। তবে টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সময় লাগবে। স্থানীয়দের ভোগান্তি কমাতে অস্থায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উত্থাপিত হয়েছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবো।
শহরবাসীর প্রত্যাশা, বিশাল বাজেটের কাজের টেন্ডার হতে অনেক সময় লাগবে, তাই তার আগে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত অন্তত সাময়িক সংস্কারের উদ্যোগ নেবে, যাতে আগামী কয়েক মাসের জন্যে হলেও সড়কের এই ভয়াবহ দুর্ভোগ থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।