প্রকাশ : ০১ জুলাই ২০২৫, ০৯:০১
প্রাইম ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখার একাধিক গ্রাহকের টাকা উধাও !

প্রাইম ব্যাংক হাজীগঞ্জ বাজার শাখার একাউন্ট থেকে একাধিক গ্রাহকের টাকা উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (৩০ জুন ২০২৫) ব্যাংকের গ্রাহক মাসুদা ও সুমি আক্তার নিজেরা টাকা উধাওয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
|আরো খবর
ভুক্তভোগী সুমি আক্তার জানান, গত বুধবার (২৫ জুন ২০২৫) চেক রিসিভ করার জন্যে মোবাইলে একটি ম্যাসেজ আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনি ৫ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। টাকা উত্তোলনের পর তার একাউন্টে ছিলো ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। গত রোববার তিনি ফেসবুকে দেখতে পান, প্রাইম ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখার একজন গ্রাহকের একাউন্ট থেকে টাকা উধাও হয়ে গেছে। ম্যাসেজটি দেখতে পেয়ে পরদিন সোমবার ব্যাংকে এসে জানতে পারেন তার একাউন্টেও টাকা নেই। তারপর ব্যাংক স্টেটম্যান্টে দেখেন, ৬টি ধাপে মোট ১ লাখ ২৭ হাজার টাকা বিকাশে ট্রান্সফার হয়েছে। এই তথ্য দেখে তিনি হতবাক হয়ে বলেন, আমি এই টাকা ট্রান্সফার করিনি এবং আমার মোবাইলেও কোনো ধরনের ওটিপি (নম্বর) ম্যাসেজ আসেনি।
মাসুদা নামের অপর এক ভুক্তভোগী জানান, তার একাউন্ট থেকেও ১ লাখ ৩১ হাজার টাকা উধাও হয়ে গেছে। তিনিও কোনো টাকা ট্রান্সফার করেননি এবং তার মোবাইলেও কোনো ধরনের ওটিপি (নম্বর) যায়নি।
সোমবার দুপুরে সরজমিনে উক্ত শাখায় গেলে সাখাওয়াত হোসেন নামের একজন গ্রাহক সংবাদকর্মীদের জানান, তার একাউন্টে ৫ লাখ টাকা আছে। এই টাকা উত্তোলন কিংবা ট্রান্সফারের জন্যে গত ২৭-২৯ জুন পর্যন্ত তার মোবাইলে অন্তত ১৫টি ওটিপি এসেছে। তিনি ওটিপি নম্বর কারো সাথে শেয়ার না করে আজ (সোমবার) প্রাইম ব্যাংক থেকে অন্য একটি ব্যাংকের একাউন্টে তার ৫ লাখ ট্রান্সফার করেছেন।
এ বিষয়ে প্রাইম ব্যাংকের হাজীগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক আবু সাইদ কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। বিষয়টি তারা দেখছেন।
এদিকে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি, হেড অফিস থেকে লিখিত একটি বক্তব্য সংবাদকর্মীদের দেয়া হয়েছে। ওই বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাইম ব্যাংক সবসময় গ্রাহকবান্ধব নীতি অনুসরণ করে এবং দেশের প্রচলিত আইন ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম মেনে চলার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইন প্রতারণার মাধ্যমে টাকা নেয়ার ঘটনা ঘটছে, যা খুবই উদ্বেগজনক।
তিনি আরো বলেন, প্রাইম ব্যাংক হাজীগঞ্জ শাখার একজন গ্রাহকের অভিযোগ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখছি। আমাদের সকল সম্মানিত গ্রাহকের প্রতি অনুরোধ, কোনো অবস্থাতেই কাউকে আপনার ওটিপি, পাসওয়ার্ড বা ব্যাংক অ্যাকাউন্টের গোপন তথ্য শেয়ার করবেন না।