প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:২৪
৬ ধাপে ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ : দায় এড়াতে পারবে কি ব্যবস্থাপক?

কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন একাউন্টে টাকা হস্তান্তর করেন অভিযুক্ত ব্যাংক কর্মকর্তা জাবেদ হোসাইন। শাহরাস্তি থানায় অভিযোগে জনতা ব্যাংক সূচীপাড়া শাখার ব্যবস্থাপক কার্তিক চন্দ্র ঘোষ এসব তথ্য উল্লেখ করেন। তাকে আটকের পূর্বেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। জানা গেছে, অভিযুক্ত সিনিয়র অফিসার জাবেদ হোসাইন ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে গ্রাহক মো. সেলিমের একাউন্ট থেকে ( হিসাব নং - ০১০০০৫৯৮৭৭১০৫) অগ্রণী ব্যাংক ভবানিগঞ্জ শাখা লক্ষ্মীপুর, লুক লেদার সুজ (হিসাব নং -০২০০০২২৯১১২৭৫) একাউন্টে ১ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন। ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে একই একাউন্ট থেকে ডাচ বাংলা পিএলসি খিলগাঁও ঢাকায় মোসা. তানিয়া বেগমের একাউন্টে ( হিসাব নং -২৯২৭৩৪৮৬১৭৮০৪) ২ লাখ ৭৯ হাজার ৪ শত টাকা স্থানান্তর করেন। একই একাউন্ট থেকে একই তারিখে পূবালী ব্যাংক গোপালগঞ্জ শাখায় সুকান্ত বাড়ই-এর একাউন্টে (হিসাব নং -১৯০০১০১১৬৬২৩৩) ৬ লাখ ৯৫ হাজার টাকা স্থানান্তর করেন। ৯ এপ্রিল ২০২৫ একই একাউন্ট থেকে ব্র্যাক ব্যাংক নিতাইগঞ্জ শাখা নারায়ণগঞ্জে রিফাত প্যাকেজিং স্টোর ( হিসাব নং -৪৩০৫২০৫১৫৩৬০০০০১)-এ ১৬ লাখ টাকা স্থানান্তর করেন। একই তারিখে মায়া নূর আক্তারের একাউন্ট থেকে ( হিসাব নং -০১০০০৫৯৯৯৬৩৫০)-এ সিটি ব্যাংক যশোর শাখায় মো. তাসিনের একাউন্টে (হিসাব নং -২১০৪৪৩৪০৫৬০০১)-এ২৫ লাখ ৫৬ হাজার ২ শত ১১ টাকা স্থানান্তর করেন। ১০ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে এনায়েত হোসেনের একাউন্ট থেকে ( হিসাব নং -০১০০০৫৯৮৬৩৬০১) সিটি ব্যাংক যশোর শাখায় মো. তাসিনের একাউন্টে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার ২ শত ৩ টাকা স্থানান্তর করেন। জাবেদ হোসাইন ৬ ধাপে বিভিন্ন একাউন্টে মোট ৮৪ লাখ ৬৭ হাজার ৮ শত ১৪ টাকা আত্মসাতের জন্যে স্থানান্তর করেন।
|আরো খবর
এলাকাবাসীর প্রশ্ন : কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ধাপে টাকা স্থানান্তরের বিষয়টি কেন জানতে পারনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এতে কি শাখা ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব অবহেলা কিংবা গাফলতি ছিলো না? গ্রাহকদের আমানতে টাকা এভাবে আত্মসাতের উদ্যোগে স্থানান্তর করা হলে গ্রাহকরা ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করেন।