শুক্রবার, ০৭ মার্চ, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৬ মার্চ ২০২৫, ২১:৩৪

সয়াবিন তেল সংকট চরমে

ফরিদগঞ্জের বাজারগুলোতে রমজান-সামগ্রীর দাম বাড়ছে

ফরিদগঞ্জের বাজারগুলোতে রমজান-সামগ্রীর  দাম বাড়ছে
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো

ফরিদগঞ্জের হাটবাজারগুলোতে রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। অন্যদিকে সয়াবিন তেল সংকট কোনোভাবেই থামছে না। কোম্পানিগুলোর শর্তের যাঁতাকলে খুচরা বিক্রেতা যেমন হয়রানি হচ্ছে, তেমনি তেল সরবরাহের ঘাটতির সুযোগে বেশি দামে মানহীন সয়াবিন তেলও কিনতে হচ্ছে চওড়া দামে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ ২০২৫) উপজেলা সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু পাইকারি ১৭ টাকা বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা ২৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। রসুন পাইকারি প্রতি কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি করলেও খুচরা বিক্রেতারা এক শ' টাকা দরে বিক্রি করে চলছে। শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। গরুর মাংস একশ' টাকা বৃদ্ধি করে হাড় ছাড়া ৮ শ’ টাকা কেজিতে বিক্রি করার জন্যে দাম নির্ধারণ করে দেয়ার বিষয়টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।

লেবুতে অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি পেয়ে ১৫/২০ টাকা পিচ বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট চরমে এসে ঠেকেছে।

আদা ৯০/১০০টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, শিম ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৫০ টাকা, পেঁপে ৩৫ টাকা, টমেটো ১৫ টাকা, কুমড়া ৩০/৩৫ টাকা ও শিমের বিচি ৯০/১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের মধ্যে তেলাপিয়া ২শ' ১০ টাকা, পাবদা ৪শ' টাকা, পাঙ্গাশ ১শ' ৭০ টাকা, সিং ৪শ' ৫০ থেকে ৬শ' টাকা, ইলিশ ১২শ' টাকা, কাতলা সাড়ে ৩শ' টাকা, রুই সাড়ে ৩শ' টাকা, মলা ২শ' টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মুরগীর বাজারও বেড়েই চলছে। সাদা ব্রয়লার ১শ' ৯০ টাকা, কক ২শ' ৭০/৮০ টাকা, লেয়ার ৩শ' ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হচ্ছে, খাসি ১৩শ' টাকা ও বকরি ১১শ' টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। পেঁয়াজ কেজি ৪০/৪২ টাকা, রসুন কেজি ১শ' ২০ টাকা, শশা কেজি ৪০/৪৫ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, আলু ২০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একই পণ্য দোকানভেদে বিভিন্ন দামেও বিক্রি হচ্ছে।

কাঁচা বাজারের আড়তের মালিক মোস্তফা ও নয়ন সত্যতা স্বীকার করে জানান, একই দিনের কেনা পণ্যের দাম দিনের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন দাম হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া খুচরা বিক্রেতাদের নিয়ে সিন্ডিকেট গড়ে তোলা হয়েছে। ফলে খুচরা বিক্রেতারা অনেকটা জিম্মি হয়ে পড়েছে।

মাংস বিক্রেতা কাউসার ও আনিছ মিয়া জানান, গরুর দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মাংস কেজিপ্রতি একশ' টাকা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।

সয়াবিন তেল সংকট নিয়ে মুদি দোকানি মো. রহমত উল্যা জানান, সয়াবিন তেল কিনতে হলে ওই কোম্পানির অন্য কয়েকটি পণ্য বাধ্যতামূলকভাবে ক্রয় করতে হয়। ফলে দোকানিদের সয়াবিন তেল বেচা-বিক্রির প্রতি অনীহা রয়েছে।

শিক্ষক শাহজাহান, কৃষক রেজু মুন্সী, অটো চালক জসিম উদ্দিন, পল্লী চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেনসহ অনেকেই জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও আড়তগুলোতে নিয়ম মেনে চলা দরকার।

রমজানে বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ্ আলম ব্যবসায়ীদের নিয়ে সভা ডেকে গরুর মাংসের দাম নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক টাকা লাভে রমজান সামগ্রী বিক্রি করার দোকান চালু করার ব্যবস্থা করেছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান, বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখতে মোবাইল কোর্ট জোরদার করবো। এরই মধ্যে এসি (ল্যান্ড)কে দিয়ে বাজার মনিটরিং শুরু করে দিয়েছি। রমজানে অধিক মুনাফা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়