বুধবার, ০৫ মার্চ, ২০২৫  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ২৩:২৯

বেঁধে দেওয়া দামে মাংস-ডিম বিক্রি করছেন না চাঁদপুরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী

অনলাইন ডেস্ক
বেঁধে দেওয়া দামে মাংস-ডিম বিক্রি করছেন না চাঁদপুরের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চাঁদপুরে গরু, খাসি, মুরগির মাংস ও ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাজার ঘুরে নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে পণ্য বিক্রি করতে দেখা গেছে অধিকাংশ ব্যবসায়ীকে।

সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫ ) চাঁদপুর শহরের বিপণীবাগ ও নতুন বাজারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে বাজার দর।

এর আগে রোববার (২ মার্চ ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রশাসনের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে সবার সম্মতিতে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৮০, খাসির মাংস ১১০০, ব্রয়লার মুরগি ১৮০, সোনালি মুরগি ২৭০ টাকা ও ডিম প্রতি পিস সাড়ে নয় টাকা নির্ধারণ করা হয়।

কিন্তু দাম নির্ধারণের পরদিন সোমবার আগের বেশি দামেই পণ্য বিক্রি করছেন অনেক ব্যবসায়ী।

সোমবার শহরের বিপণীবাগ বাজারে আনোয়ার হোসেন আনুর মাংসের দোকানে গরুর মাংস ৭০০ টাকায় আর খাসির মাংস ১১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বেশি দাম রাখার কারণ জানতে চাইলে দোকানের মালিক আনু বলেন, আমরা ৬৮০ টাকায় বিক্রি করবো। মূল্যতালিকা আজই পরিবর্তন করা হবে।

একই বাজারের দ্বীন ইসলামের ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৯০ টাকায়, সোনালি প্রতি কেজি ২৮০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে।

একই দামে বিক্রি হচ্ছে রাসেল খান ব্রয়লার হাউজেও।

রাসেল খান বলেন, দাম নির্ধাণের আগে মুরগির পরিবেশকদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন ছিলো। প্রশাসন থেকে দাম নির্ধারণ করা হলেও আমরা ওই দামে বিক্রি করতে পারছি না।

একই বাজারে আবদুর রহমান, তারেক ও নুরু স্টোরে প্রতি কুড়ি ডিম বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। যা প্রতি কুড়ি ডিমের নির্ধারিত মূল্য থেকে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি।

নতুন বাজারের পাশাপাশি দুটি ব্রয়লার মুরগির দোকানের মধ্যে কালুর ব্রয়লার হাউজে ব্রয়লার প্রতি কেজি ১৯০ টাকায় আর সোনালি নির্ধারিত দামে (২৬০) বিক্রি হয়েছে। কিন্তু পাশের আল-আমিন ব্রয়লার হাউজে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০ টাকা আর সোনালি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল।

ব্যবসায়ী কালু জানালেন, কেনার ওপর নির্ভর করে বিক্রি করা হচ্ছে।

আর আল-আমিন বলেন, বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে। এখনো প্রশাসনের কোনো নির্দেশনা পাইনি।

এ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সেলিমের দোকানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হতে দেখা গেছে ৭৫০ টাকায়। তারা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পাননি বলে দাবি করেছেন। নির্দেশনা পেলে সে অনুযায়ী দাম রাখা হবে।

চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রয়েছে। যেসব বাজারে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হবে, সেখানে অভিযান চালানো হবে। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যে প্রশাসনের পাশাপাশি ক্রেতাসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে। সূত্র : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়