প্রকাশ : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৫
জনতা ব্যাংক পিএলসি চাঁদপুর এরিয়ার সকল কর্মকতা ও ব্যবসায়ীদের সাথে সদ্য যোগদানকৃত পরিচালকের মতবিনিময় সভা

জনতা ব্যাংক পিএলসি-তে সদ্য যোগদানকৃত পরিচালক ড. মো.
শাহাদাৎ হোসেন চাঁদপুর এরিয়ার সকল কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেছেন। এই প্রথম ব্যাংকের সর্বোচ্চ পর্যায়ের অভিভাবক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে ছুটে এসেছেন ব্যাংকিং বিষয়ে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা ও তাদের কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্যে। সম্প্রতি চাঁদপুর সার্কিট হাউসে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সারাদিনব্যাপী দুটি সেশনে উক্ত মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।সকালের সেশনে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সাথে এবং বিকেলের সেশনে চাঁদপুরের ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন। তিনি ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং সমস্যা তুলে ধরার জন্যে অনুরোধ করেন। চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপাল সাহা, নাজমুল আলম পাটওয়ারীসহ অনেক ব্যবসায়ী উপস্থিত থেকে মাঠ পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের ব্যাংকিং সমস্যা তুলে ধরেন এবং ব্যাংকের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে তাদের কাছে এসে মতবিনিময় করার জন্যে পরিচালক মহোদয়কে ধন্যবাদ দেন ।
বর্তমান সময়ে দেশের ব্যাংকিং সেক্টর খুব ক্রান্তিকাল সময় অতিক্রম করছে। সেই বিবেচনায় চাঁদপুরের কৃতী সন্তান ড. শাহাদাৎ হোসেনের মত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ব্যক্তিকে জনতা ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আশা করা যায় তার বিশাল অভিজ্ঞতা ব্যাংকিং সেক্টরের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি বাংলাদেশ সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব। তিনি ১৯৮৯ সালে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ৮ম ব্যাচের একজন কর্মকর্তা হিসেবে সরকারি চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের পরিচালক, কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তর এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৩৪ বছর যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন- WHO, WB, USAID, ICDDR,B, Population Council, RTM সহ বহু খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানে ন্যাশনাল কনসালট্যান্ট হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, চীন, মঙ্গোলিয়া ও থাইল্যান্ডসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বহু আন্তর্জাতিক কর্মশালা ও সেমিনারে Keynote স্পিকার হিসেবে প্রভূত খ্যাতি অর্জন করেন।
ড. মো: শাহাদাৎ হোসেন ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতির 'Micro Credit-এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দারিদ্র্য বিমোচন' বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৫ সালে লন্ডনের City & Guilds হতে International Diploma in Teaching & Training (IDTT) ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন হতে ২০০৪ সালে উন্নয়ন প্রশাসন ও পরিকল্পনা (ডিএপি) বিষয়ে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ সালে HRM-এ MBA ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগ হতে ১৯৮৪ সালে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৮৫ সালে একই বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় সহ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সফলভাবে খণ্ডকালীন ৩২ বছর যাবৎ অধ্যাপক হিসেবে কাজ করে চলেছেন। এছাড়াও ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড একাউন্ট্যান্ট (আইসিএ), ইনস্টিটিউট অব কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্ট একাউন্ট্যান্ট (আইসিএমএ)-এ সুদীর্ঘকাল যাবৎ খণ্ডকালীন অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়াও তিনি দেশের প্রায় সকল খ্যাতনামা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ড. শাহাদাৎ দেশে ও বিদেশে অনেক আন্তর্জাতিক জার্নালে বহু প্রবন্ধের সুলেখক। এছাড়াও তিনি অনেক পুস্তকের প্রণেতা এবং জাতীয় দৈনিকে (বাংলা ও ইংরেজি) প্রবন্ধ লিখে থাকেন। সদালাপী ড. শাহাদাৎ হোসেন দেশের এবং বিদেশের বহু সমাজকল্যাণমূলক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি ১৯৬৩ সালে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার গন্ডামারা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।