প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:৫৫
বাংলাদেশিদের না পাওয়ায় মাথায় হাত ভারতের ব্যবসায়ীদের
পাঁচদিন হল শিলিগুড়ি ও ঢাকার মধ্যে বাস চলাচলা করেনি। যাত্রী না থাকায় বাসের কাউন্টারও ফাঁকা। একদিকে ভিসা জটিলতায় বাংলাদেশি পর্যটকের আকাল, অন্যদিকে ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক সম্প্রচার সবমিলিয়ে ভয়ে আতঙ্কে ভারত থেকেও পর্যটকরা বাংলাদেশ মুখী হওয়ার সাহস করছেন না।
|আরো খবর
শিবোপ্রসাদ ঘোষ বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতির জন্য প্যাসেঞ্জার হচ্ছেই না, যাও ২-১ জন হচ্ছে দুই একজন দিয়ে তো বাস চালানো সম্ভব না। ভারত সরকার ভিসা দিচ্ছেন না, ভিসা না দিলে কিভাবে বাস চলাচল স্বাভাবিক হবে? আমরা চাইছি ভারত সরকার ফের ভিসা দেয়া শুরু করুক, এতে আমাদের বাস পরিষেবা চালু হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তিনজন কর্মী কাউন্টারে কাজ করি। কাউন্টার চালাতে খরচ রয়েছে। এমন চললে তো কাউন্টারের ঝাঁপ বন্ধ করে দেয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’
দু’চারজন যাত্রীর জন্য যে বাস চালিয়ে লাভ নেই তা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পরিবহণ সংস্থার ম্যানেজার বাবলু ঘোষ। তার কথায়, ‘দুই মাস যাবৎ যাত্রী কম হচ্ছিল। সেখানে এখন আর যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। এদেশের মানুষের মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে ভয়ের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন একজোড়া বাস দু’দেশের মধ্যে চলাচল করে। দুটি পরিষেবাই বর্তমানে বন্ধ করে রাখা হয়েছে।’
এদিদে হাসমি চক, মহাত্মা গান্ধি চক, জংশন, মাল্লাগুড়ি, বিধান মার্কেট এলাকার একাধিক হোটেলে বাংলাদেশিরা এসে থাকতেন। বাংলাদেশের নাগরিকদের যাতায়াত কমায় হোটেল ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে তা বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে স্পষ্ট হয়েছে।
তারা জানান, ‘সরকার পতনের পর বাংলাদেশের নাগরিকদের যাতায়াত শিলিগুড়িতে একেবারে কমে গেছে। ওপারে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন সেই সকল মানুষেরা ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে আসছেন। কিন্তু সেই ভিসার মেয়াদ প্রায় শেষ। শিক্ষা ও চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ এদেশে আসেন। কিন্তু সেই সংখ্যা তলানিতে ঠেকায় নিশ্চিতভাবে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে জানি না।
তথ্যসূত্র: ডেইলিকুমিল্লানিউজ