প্রকাশ : ০৯ জুলাই ২০২১, ২১:৪৪
বিক্রি হ্রাসের শঙ্কা নিয়েও ফরিদগঞ্জে কামারদের ব্যস্ততা বেড়েছে
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দিনের পর দিন বেড়ে যাওয়ার কারণে বিক্রি হ্রাসের শঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ব্যস্ততা বেড়েছে কামারদের। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় ঈদ-উল-আযহা তথা কোরবানির ঈদের সময় বিক্রির পরিমাণ কয়েক গুণ হয়, এই আশায় উপজেলার কামার বাড়িগুলোতে প্রতিনিয়ত টুং টাং শব্দ শোনা যাচ্ছে।
জানা গেছে, কোরবানির ঈদ সামনে লোকজন কোরবানির পশু জবাইসহ কাটাকুটিতে ধারালো দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি, চাকুসহ বিভিন্ন উপকরণ ক্রয় করে। সেজন্যে কামাররা ঈদের কয়েক মাস পূর্বে থেকেই এসব উপকরণ তৈরি করা শুরু করে। কিন্তু বিগত বছরে কোরবানির ঈদের সময় করোনার প্রকোপ কিছু কম থাকলেও এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। ঈদের আর মাত্র ১১/১২ দিন বাকি থাকলেও এখনো কোনো কোরবানির হাটই বসেনি।
বেশ কয়েকজন কামার জানান, করোনার কারণে তেমন বিক্রি নেই এবার। তারপরও থেমে নেই তাদের কাজের গতি। কয়লার চুলায় লাল দগদগে আগুনে গরম লোহার উপর পিটাপিটিতে শৈল্পিক হাতের ছোঁয়ায় সরঞ্জাম তৈরিতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, আকার ভেদে প্রতি পিচ ছুরি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ১৫০ টাকায়, চাপাতি ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকায় এবং বঁটি ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়।
ফরিদগঞ্জ বাজারে কামার শিল্পের সঙ্গে জড়িত নারায়ণ কর্মকার জানান, ওইসব উপকরণ তৈরির জন্যে যেসব মালামাল প্রয়োজন হয়, বাজার থেকে সেগুলো বেশি দামে কিনতে হয়েছে। ফলে তৈরিকৃত ওইসব উপকরণ বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে। আর দাম বেশির কারণে পুরানো গুলো শান দিয়ে ধারালো করে নিচ্ছেন বেশির ভাগ লোকজন।
আরেক কামার শিল্পী কান্তি কর্মকার জানান, এবারের ঈদে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আয় হবে কিনা সন্দেহ আছে। একদিকে করোনা ও অন্যদিকে লোহার দাম বেশি হওয়ায় এখনো ব্যবসা-বাণিজ্য ভালো জমে উঠেনি। শুধু পুরাতনগুলো সানের কাজ চলছে। যে পাথর কয়লা গেল বছর ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা বস্তা কিনেছিলাম, সেই কয়লা এ বছর কিনতে হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২শ’ টাকায়। ফলে লোহার এসব উপকরণ তৈরিতে ব্যয় বেড়ে গেছে।