প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ২২:৪৩
হাজীগঞ্জে প্রতিবেশির হামলায় যুবক হত্যার অভিযোগ!
মো. সেলিম হোসেন (৪৫) কবিরাজ নামে এক যুবককে পিটিয় হত্যা করার অভিযোগে উঠেছে। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে উপজেলার হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নের গৌড়েস্বর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম ওই গ্রামের কবিরাজ বাড়ির মো. আবুল কালাম কালু কবিরাজের ছেলে। একই গ্রামের কাজী বাড়ির আকবর হোসেন কাজী (৬০)সহ তাদের পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে সেলিমকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে।
|আরো খবর
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি ২০২৫ ) দুপুরে ধানের চারা রোপণের সময় নিহত সেলিমের বাড়ির জাহাঙ্গীরের সাথে একই গ্রামের কাজী বাড়ির আজিজ কাজীর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একইদিন সন্ধ্যার দিকে একই বিষয় নিয়ে আজিজের বড় ভাই চাঁন মিয়ার সাথে জাহাঙ্গীরের ভাতিজার ফের মারামারি হয়। বিষয়টি জানার পর ইউপি সদস্য সমাধানের উদ্যোগ নেন।
ঘটনার পরেরদিন শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী ২০২৫) জুমার নামাজের পর স্থানীয় মসজিদ মাঠে সেলিমকে পিটিয়ে আহত করেন আকবর কাজী গং। এ সময় স্থানীয়রা ও সেলিমের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। কর্মরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সেলিমকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে রেফার করেন এবং সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যান সেলিম।
এদিকে সেলিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে অভিযুক্ত আকবর কাজীসহ তাদের পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল ও কাজী বাড়িতে অভিযুক্তসহ তাদের পরিবারের কাউকে না পাওয়ায় এবং আকবর কাজীর মুঠোফোন নম্বরটি (০১৭৯৩-১১৬৪০৫) বন্ধ থাকায় তার ও তার পরিবারের কারো বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নিহত সেলিমের ছোট ভাই ও মৎস্যজীবী দলের নেতা নবীর জানান, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার ভাই সেলিমকে পরিকল্পিতভাবে আকবার কাজী ও আজিজ কাজীসহ তাদের পরিবারের সকল সদস্য ও ভাড়া করা লোকজনকে নিয়ে অতর্কিত হামলার পর পিটিয়ে হত্যা করে। অথচ ওই তুচ্ছ ঘটনার সাথে তার ভাই সেলিম জড়িত ছিলেন না।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সেলিম হোসেনের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করার পর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হবে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।