প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২০
দুই ভাবীর পরকীয়ার বলি দেবর মোস্তাকিন
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় দুই ভাবির সঙ্গে রায়হানের পরকীয়ার ঘটনা দেখে ফেলায় কিশোর মোস্তাকিনকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি রায়হান উদ্দিন।
|আরো খবর
উভয় পক্ষকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। অভিযুক্ত রায়হানকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে আসতে নিষেধ এবং রায়হানকে দ্রুত বিয়ে করানোর জন্য তার পরিবারকে নির্দেশ দেয়া হয়। শালিসের রায় মেনে সম্প্রতি রায়হানকে বিয়েও করায় তার পরিবার। তবে সালিশ ও বিয়ের পরও মোস্তাকিনের বাড়িতে রায়হানের যাতায়াত অব্যাহত ছিল।
গত রবিবার (২৪ নভেম্বর) রাত প্রায় ৮টার দিকে মোস্তাকিনদের বাড়িতে যায় রায়হান উদ্দিন। ঘরে প্রবেশের পর রায়হান উদ্দিন প্রথমে মোস্তাকিনের মেজো ভাবী তাছলিমা বেগমের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ায়। পরে বড় ভাবী রোজিনা বেগমের শয়নকক্ষে যাওয়ার সময় নিহত মোস্তাকিন বিষয়টি দেখে ফেলে। এক পর্যায়ে মোস্তাকিন তাদের বাড়িতে গোপনে রায়হান আসার ঘটনা মা ফুলবানু বিবি বাড়িতে আসলে বলে দিবে বলে রায়হানকে হুমকি দেয়।
ভয় পেয়ে তাসলিমা আক্তার ও রোজিনা বেগমকে নিয়ে মোস্তাকিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে রায়হান। পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় ইমামবাড়ি বাজার হতে ১টি ছুরি ও দুটি তালা কিনে আনে রায়হান। পরে মোস্তাকিনের শয়নকক্ষে প্রবেশ করে মোস্তাকিনের দুই পা তাছলিমা বেগম ও দুই হাত শরীর রোজিনা বেগম চেপে ধরে রাখে। এক পর্যায়ে রায়হান বাম হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে ও ডান হাত দিয়ে মোস্তাকিনের গলা ছুরি দিয়ে জবাই করে মোস্তাকিনকে হত্যা করে।
পূর্ব পরিকল্পনা এ ঘটনার পর নিহত মোস্তাকিনের দুই ভাবী চিৎকার ও কান্না করতে থাকে। এসময় তাদের চিৎকার শোনে আশপাশের মানুষ ছুটে আসে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পরে ২৫ নভেম্বর নবীগঞ্জ থানায় ওয়াই-ফাই নিয়ে বিরোধের জের ধরে মোস্তাকিনকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে রায়হান উদ্দীনসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফুলবানু বিবি ।
তথ্যসূত্র : ডেইলি কুমিল্লা নিউজ।