শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা গণফোরামের কর্মী সমাবেশ
  •   নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনে ফরিদগঞ্জে অবাধে ইলিশ বিক্রি
  •   পিকনিকে যাওয়া শিক্ষার্থীর মরদেহ মেঘনায় ভেসে উঠলো দুদিন পর
  •   নেতা-কর্মীদের চাঁদাবাজি না করার শপথ করিয়েছেন এমএ হান্নান
  •   বিকেলে ইলিশ জব্দ ও জরিমানা

প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৮

লাইসেন্স বাতিলের পরও অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন যিনি--

চাঁদপুর কন্ঠ রিপোর্ট
লাইসেন্স বাতিলের পরও অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি করছেন যিনি--
কাজী (মুসলিম ম্যারিজ রেজিস্ট্রার) ওয়ায়েছ কুরনী

মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের সাবেক কাজী (মুসলিম ম্যারিজ রেজিস্ট্রার) ওয়ায়েছ কুরনীর বিরুদ্ধে এখনো অবৈধভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অথচ প্রায় দেড় বছর আগে তার কাজীর লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এ ইউনিয়নে নতুন কাজী নিয়োগও দেয়া হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী বর্তমান কাজীর দপ্তরে পূর্বের সকল ভলিউম জমা দেয়ার বিধান থাকলেও ওয়ায়েছ কুরনী তার সময়কার কোনো ভলিউম জমা দেন নি। উপরন্তু তিনি এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রির কাজ করে যাচ্ছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার ৫নং দুর্গাপুর ইউনিয়নের মুসলিম ম্যারিজ রেজিস্ট্রার (কাজী) মোঃ ওয়ায়েছ কুরনীর কাজীর লাইসেন্স আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় বাতিল করে ২০২৩ সালের ৯ মার্চ। ওয়ায়েছ কুরনী এই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন এবং সিভিল পিটিশন লীভ টু আপীল দায়ের করেন। তার এসব আপীল চলতি ২০২৪ সালের ২ জুন খারিজ হয়ে যায়। অপরদিকে এর পরদিনই অর্থাৎ ৩ জুন ২০২৪ তারিখে এই ইউনিয়নে মোঃ মাসুম বিল্লাহকে কাজী হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) বিধিমালা অনুযায়ী নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের নিকট পূর্বের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের যাবতীয় রেকর্ডপত্র ও বালাম বহি হস্তান্তরের বিধান থাকলেও ওয়ায়েছ কুরনী অদ্যাবধি সেগুলো জমা দেন নি। শুধু তাই নয়, তার লাইসেন্স বাতিল হওয়ার পরও তিনি এলাকায় বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ওয়ায়েছ কুরনীকে জেলা রেজিস্ট্রার দুই দফা চিঠি দেন তার কাছে অবৈধভাবে থাকা বিবাহ রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত সকল রেকর্ডপত্র ও বালাম বহি নতুন লাইসেন্সপ্রাপ্ত নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের কাছে হস্তান্তরের জন্যে। জেলা রেজিস্ট্রারের চিঠিকেও তিনি আমলে নেননি।

এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে কাজী মোঃ মাসুম বিল্লাহ বলেন, আমি সরকারিভারে নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী। ওয়ায়েছ কুরনীর কাজীর লাইসেন্স বাতিল হয় ২০২৩ সালের ৯ মার্চ। এরপর থেকে সে বিবাহ রেজিস্ট্রি করার আইনগত কোনো বৈধতা নেই। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সে এলাকায় লুকিয়ে লুকিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি তার কাছে থাকা বিবাহ রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত কোনো রেকর্ডপত্র এবং বলাম বহি আমার কাছে হস্তান্তর করেন নাই। আমাদের অভিভাবক জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয়ের চিঠিকেও সে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। আমি পুনরায় ওয়ায়েছ কুরনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা রেজিস্ট্রার মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি। আমি আশা করছি আমি ন্যায় বিচার পাবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়