প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:০৩
পল্লী বিদ্যুতের বিরুদ্ধে মিটার রিডিং না দেখেই বিদ্যুৎ বিল প্রদানের অভিযোগ
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডারদের অনেকের বিরুদ্ধেই গ্রাহকের মিটার না দেখে কম-বেশি বিল করার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সে অভিযোগ নিরসনে নানা কারণে ও অজুহাতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সবসময় ব্যবস্থা নেয় না বলে গ্রাহকদের অসন্তোষ লক্ষ্য করা যায়।
|আরো খবর
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ফরিদগঞ্জ উপজেলাস্থ কামতা জোনাল অফিসের আওতাধীন ষোলদানা পালের বাড়িতে পল্লী বিদ্যুতের কোনো লোক উপস্থিত না হয়েই গত আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল প্রস্তুত করায় সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাসের বিলে অনেক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়েছে বলে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর কণ্ঠের সাবেক সংবাদ প্রতিনিধি ও অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক মোঃ তাফাজ্জল হোসেন অভিযোগ করেন যে, আমার হিসাব নং ৮৫০০/৮০২-এ আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল ইস্যুর তারিখ দেখানো হয়েছে ২৫/০৮/২০২৫ এবং আমার ব্যবহৃত ইউনিট দেখানো হয়েছে ৩৫ । কিন্তু আমি ২০/০৮/২০২৪ তারিখে আমার মিটারে ৬৪ ইউনিট দেখেছি। আগস্ট ২০২৪ মাসের বিল কম দেখানোর কারণে আমার সেপ্টেম্বর ২০২৪ মাসে মোট খরচ দেখানো হয়েছে ১১০ ইউনিট। এতে আমার ও আমার বাড়ির অনেকেরই অর্থনৈতিক লোকসান হয়েছে। লোকসানের হিসাবটা একটু তুলে ধরা যাক। বিদ্যুতের ইউনিট রেট--০ থেকে ৫০ ইউনিট ৪.৬৩ টাকা, ০ থেকে ৭৫ ইউনিট ৫.২৬ টাকা , ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট ৭.২০ টাকা। আগস্ট মাসে কম ইউনিট দেখানোর কারণে অপ্রদর্শিত ইউনিট সেপ্টেম্বর মাসের ইউনিটের সাথে যোগ হওয়ায় আমাদেরকে সেপ্টেম্বর মাসে বাড়তি রেটে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হয়েছে। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কর্মকাণ্ড না ঘটে তার প্রতি নজর রাখার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড চলতে থাকলে গ্রাহকদের সাথে বিদ্যুৎ কর্মীদের কোনো রকম বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে গ্রাহকদেরকে দায়ী করা যাবে না।