সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪

জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ানের টেন্ডার বাণিজ্য ও নামে-বেনামে বিপুল অর্থ-সম্পদ!

সোহাঈদ খান জিয়া।।
জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ানের টেন্ডার বাণিজ্য ও নামে-বেনামে বিপুল  অর্থ-সম্পদ!

চাঁদপুর জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ান মোঃ মিজানুর রহমান বেপারীর বিরুদ্ধে টেন্ডার বাণিজ্য সহ আরো কিছু অনিয়ম করে নামে-বেনামে অর্থ-সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সংক্ষুব্ধ এক ব্যক্তি জেলা দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

জেলা পরিষদের ইলেকট্রিশিয়ানের পূর্ণ পরিচয় ও ঠিকানা হচ্ছে--মোঃ মিজানুর রহমান বেপারী, পিতা-মৃত মোঃ রুস্তম আলী বেপারী, মাতা- আঙ্কুরি বেগম, সাং কল্যান্দি, পোঃ বাবুরহাট, উপজেলা- চাঁদপুর সদর, জেলা- চাঁদপুর। তার জাতীয় পরিচয় পত্র নং ৯৩২৯৫০১১৩০৫১৯।

উপরোল্লিখিত লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায় যে, মোঃ মিজানুর রহমান বেপারী বর্তমানে জেলা পরিষদ চাঁদপুর ইলেকট্রিশিয়ান পদে নিয়োজিত। তিনি সরকারি চাকুরির অন্তরালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন সচিব মোঃ শাহ কামাল সাহেবের ছত্রছায়ায় বহু টেন্ডার বাণিজ্য করেন এবং কর্মহীন মানুষকে চাকরি দিবেন বলে নিয়োগ বাণিজ্য করে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিজের আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে অর্থ ও সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলেন। তার ক্ষমতার দাপটে ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে সাহস পায়নি। বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মিজানুর রহমান বেপারী কচুয়ার প্রসন্নকাপ হাই স্কুল কাম বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে চুক্তিমূলে তিন কোটি এগারো লাখ দুই হাজার তিনশ' তিয়াত্তর দশমিক পাঁচ চার শূন্য টাকার ঠিকাদারিতে নিযুক্ত হয়। বিগত ২৯/১১/২০২০ তারিখে কাজী মাঈনুল ইসলাম (ছৈয়াল বাড়ি, হাজী মহসিন রোড, চাঁদপুর)-এর সাথে উক্ত প্রকল্পের নির্মাণ কাজের অংশীদার হিসেবে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন যাবৎ নির্মাণ কাজ পরিচালনা করে জানুয়ারি, ২০২৪ মাসে কাজ সম্পন্ন করে নির্মাণ কাজটি কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দেন এবং চূড়ান্ত বিলের টাকা উত্তোলন করেন। নিম্নস্বাক্ষরকারীর সরলতার সুযোগে বিনিয়োগকৃত তিপ্পান্ন লাখ ছিয়াত্তর হাজার একশত নিরানব্বই টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। পাওনা টাকা চাইতে গেলে মিজানুর রহমান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। তিনি তার ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্নভাবে অবৈধ টাকার পাহাড় গড়ে তোলেন। তার নামে বেনামে চাঁদপুর সহ ঢাকার মোহাম্মদপুরে জমি প্লট, দোকান ও মার্কেট রয়েছে বলে জানা যায়।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে মিজানুর রহমান বেপারীর সাথে কথা বললে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন। সরকারি চাকুরি করে তিনি ঠিকাদারি করতে পারেন কিনা এ ব্যাপারে কোনো যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেন নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়