প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২১, ০৮:৪৩
হাজীগঞ্জে ব্যাংকে টাকা চুরির ঘটনায় ৪ বাহিনীর তদন্ত শুরু
হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের হাজীগঞ্জের বেলচোঁ বাজারের আল-আরাফাহ ইসলামী এজেন্ট ব্যাংকের সোয়া ৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনার তদন্তে নেমেছে সরকারের ৪ বাহিনী। এর আগে গত সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় শাখার সামনের রুমের গ্রিলের জানালা কেটে ব্যাংকে ঢুকে চোরের দল। তবে এ শাখায় সিসি ক্যামেরা কিংবা নৈশপ্রহরী না থাকাতে মালিক পক্ষের হেয়ালীপনাকে দায়ী করেছে পুলিশ।
শাখার অপারেশন অফিসার ইসমাঈল হোসেন (২৫) চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, সোমবার বিকেলে লকারসহ সকল কিছু চেক করে আমরা ব্যাংক বন্ধ করে চলে যাই। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্যাংকে ঢুকে দেখি সামনের রুমের পূর্ব পাশের জানালার গ্রীল কাটা ও লকার ভাঙ্গা। এতে করে লকারে রাখা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়।
এদিকে ব্যাংকে চুরির খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেন হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ, হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ ও ওসি তদন্ত ইব্রাহিম খলিল। এর কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সিআইডি ও পিবিআই। এছাড়া ও ডিএসবি আলাদাভাবে তাদের তদন্ত করেছে বলে সরেজমিনে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ বলেন, হাজীগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ স্যারের নির্দেশে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আলামতসহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করি। এরপরেই বিভিন্ন সংস্থাকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনা হয়। তারা তাদের মতো করে তদন্ত করছে। শাখার মালিক পক্ষ মামলা দায়ের করেছে। অপর এক প্রশ্নে এই কর্মকর্তা জানান, একটি এজেন্ট ব্যাংকে কমবেশি টাকা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু এখানকার কর্তৃপক্ষ কোনো সিসি ক্যামেরা কিংবা নৈশ প্রহরীর ব্যবস্থা করেনি।
উল্লেখ্য, বেলচোঁ এজেন্ট শাখা থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দক্ষিণে একই সড়কের পাশে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ফকির বাজারে ব্যাংক এশিয়ার এজেন্ট থেকে ৬ লাখ টাকা চুরি হয়। চলতি মাসের প্রথম দিকে ঘটে যাওয়া ওই চুরির ঘটনার দুইদিন পর উক্ত এজেন্টের পাশের ঝোঁপের মধ্য থেকে পুরো ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।