প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:২২
শ্লীলতাহানির মামলায় জেল খাটছেন দুই যুবক
ফরিদগঞ্জে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে অপহর ও শ্লীলতাহানির মামলায় জড়িত না থেকেও জেল খাটছে অসহায় দুই যুবক। এদিকে মামলার ভয়ে আতঙ্গে পুরো এলাকাবাসি। ভয়ে কথা বলতে রাজি হচ্ছেনা স্থানীয় লোকজন। আসামী পক্ষের একজনের জমি দখল দিলে মামলায় আপোষ মিমাংশা করে দিবে বলে গুঞ্জন চলছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৯নং গোবিন্ধপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব চাঁদপুর গ্রামের শিকদার বাড়িতে।
|আরো খবর
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, গত ৩১ আগস্ট প্রেমের সর্ম্পকের জের ধরে রাতের আধাঁরে প্রেমিকের সাথে দেখা করতে শিকদার বাড়ির পূর্ব পাশে তাফুর ঝিল নামে পরিচিত স্থানে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের দেখে পেলে তারা ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাদের ধরে পেলে। পরে মেয়েটি তুলনায় ও ছেলেটির বয়েস কম হওয়া স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন। আর ছেলেটিকে স্থানীয় মেম্বার জুয়েল খান আহাদের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। মেম্বার ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন । বিষয়টি যাতে ভাড়াবাড়ি না হয় সেই জন্য মেয়ের বাবা স্থানীয় মেম্বারকে অনুরোধ করেন। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে মেয়ে বাবা কিছু কুচক্রীক মহলে পরামর্শে পূর্বের শত্রুতার জের ধরে ঘটনার সাথে জড়িত ছিলোনা এমন ৪ জনের নামে থানায় শ্লীলতাহানি ও অপহরন মামলা দায়ের করেন। দায়ের কৃত মামলায় অভিযোক্তরা হলেন, ওছমান শিকদার, শাকিল শিকদার, কিরন বেপারী ও আঃ রহমান শিকদার। এসময় রাতেই পুলিশ ওছমান শিকদার ও শাকিল শিকদারকে আটক করেন। আটকে পর পরই পুরো এলাকা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে আটকের পর পরই মেয়েরা বাবা ওছমানদের জমিতে জোর পূর্বক ভাবে বাড়ি নির্মান করতে জায়। এসময় তাদের বাঁধা দিলে মামলার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। জমিতে বাড়ির কাজ করতে দিলে ওছমানকে জামিন করতে আপোষ মিমাংশা যাবে বলে আশ^াস দেন মেয়ের বাবা এমনটি বলেন ওসমানের পরিবারের লোকজন।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক কয়েকজন বলেণ, ঐ রাতে মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে দেখা করেতে ঝিলের পাড়ে যায়। সেই সময় স্থানীয় লোকজন তাদেরকে আটক করেন। পরে মেয়ের তুলনায় ছেলের বয়স কম হওয়া স্থানীয় ভাবে রাতে তাদের স্থানীয় মেম্বারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু যেই ছেলেদের নামে মামলা দেওয়া হয়েছে তারা তো এর সাথে জড়িত ছিলোনা। তাদের কেন মামলায় জড়িয়েছে তা আমাদের বোধগম্ম নয়। অপপ্রশ্নের জবাবে বলেন,তাদের সাথে র্দীঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। এই থেকে মনে হয় তারা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
ওছমানের বাবা হাবিবুল্লাহ শিকদার বলেন, আমার ছেলে ঘটনা শোনে ঘটনাস্থলে যায় গিয়ে দেখে আমাদের বাড়ির মেয়ে সে দ্রুত মেয়েটিকে তার দাদির হাতে তুলে দেয়। বাড়ি সন্মান রাখতে সে এই কাজ করছে। কিন্তু মেয়ের বাবার সাথে আমাদের র্দীঘদিনের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। সে এটাকে পুজি করে আমার ছেলে বিরোদ্ধে জমি দখলের জন্য এই অপহরন ও শীøলতাহানির মামলা দায়ের করেছে। এদিকে মেয়ের বাবা আমার জমিতে বিল্ডিং করতে অনুমতি দিলে মামলা উঠিয়ে নিবে বলেছে। আমি রাজি না হওয়া আমার ছেলে বিনা কারনে জেল খাটছে।
শাকিলের বাবা আব্দুল খালেক শিকদার বলেন, আমার ছেলে ঘটনাটি শোনে দেখতে যায়। এ বিষয়ে কিছু যানেনা। তার পরেও পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এর আগেও তারা আমার ছেলেকে ভিবিন্ন ভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করছে।
মেয়ের বাবা আমিনুল ইসলাম খোকা বলেন, এটা আইনের বিষয় যা আদালতের প্রমানিত হবে। আমার জীবনে আমি অনেক কে ঢাকা পাঠিয়ে দিয়ে তার বিরোদ্ধে অপহরনের মামলা দিয়েছি। পরে সমাধান হয়েছে আবার নিয়ে এসেছি। অপহরনের অনেক নিউজ করিয়েছি। আমার নিউজের প্রয়োজন হলে আমি আপনাদের বলবো।
ইউপি সদস্য আহাদ খাঁন জুয়েল বলেন, আমি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলাম। সেই খানে আমার কাছে ফোন আসে একটি মেয়ে ছেলে স্থানীয় লোকজনের কাছে আটক হয়েছে। আমি ঘটনাস্থানে গিয়ে দেখি মেয়েটি তার দাদির কাছে দিয়ে দিয়েছে। আর ছেলেটি আমার হাতে তুলে দেয়। আমি ছেলেটিকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। আমি যতটুকু যানি তাদের এই মামলা পিছনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে হয়েছে। যেই ছেলে গুলোর নামে দিয়েছে তারা এই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলোনা।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শেখ বলেন, এই বিষয়টি নিয়ে আমার পরিষোদে একটি অভিযোগ হয়েছে। আমি চেষ্টা করেছি সমাধানের জন্য কিন্তু পারিনি। মামলাটি মনে হয় জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারনে হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদ হোসেন বলেন, মামলাটি তদন্তাদিন রয়েছে। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, যদি এই ধরনের কোন বিষয় হয়ে থাকে তা হলে তার বিরোদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।