প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২১, ১৪:৪৬
দীর্ঘ ১৮ মাস পর চাঁদপুরে ৭২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হলো এসএসসি পরীক্ষা
করোনা মহামারী উপেক্ষা করে প্রায় ১৮ মাস পর রোববার পরীক্ষায় চাঁদপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অংশ নিল ৪১ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থী। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দীর্ঘ ৯ মাস পিছিয়ে থাকার কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে শুধু তিনটি নৈর্বাচনিক বিষয়ের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
|আরো খবর
১৪ অক্টোবর রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষার প্রথম দিনে চাঁদপুর জেলার ৮টি থানার ৭২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবারের এসএসসি পরীক্ষার সময়ও কমিয়ে আনা হয়েছে দেড় ঘণ্টায়।
জেলার ৮টি থানার সবক’টি কেন্দ্রে এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষা শুরুর পূর্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতি বেঞ্চে দুজন করে পরীক্ষার্থী বসানো হয়। পরীক্ষা শুরুর পূর্বে শিক্ষার্থীদের হাত জীবাণুমুক্ত করে এবং তাপমাত্রা মেপে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়। কোনো শিক্ষার্থীর শরীরের তাপমাত্রা বেশি হলে এবং করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকলে তাকে আলাদা রুমে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগের সুপারিশ অনুযায়ী দেখা যায়, জেলার প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে আইসোলেশন রুম প্রস্তুতসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদেরও দেখা যায়। এছাড়া জেলার প্রায় প্রতিটি কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের বাড়তি চাপও নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
এবারের এসএসসি ও সমমনা পরীক্ষায় চাঁদপুর সদরে ৬টি কেন্দ্রে অংশ নেয় ৬ হাজার ২শ’ ২০ জন। এছাড়া হাজীগঞ্জের ৯টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৩শ’ ১০ জন, মতলব উত্তরের ৭টি কেন্দ্রে ৫ হাজার ২শ’ ৫৬ জন, মতলব দক্ষিণে ৪টি কেন্দ্রে ২ হাজার ৬শ’ ৮ জন, ফরিদগঞ্জে ৫টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ১শ’ ৭৭ জন, শাহারাস্তির ৫টি কেন্দ্রে ৩ হাজার ৬শ’ ২৫ জন, কচুয়ার ৭টি কেন্দ্রে ৪ হাজার ৭শ’ ২৯ জন এবং হাইমচরের ১টি কেন্দ্রে ১ হাজার ৩৮ জন অংশ নেয়।
চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখার সাথে যোগাযোগ করে (রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) জানা যায়, এখন পর্যন্ত জেলার ৭২টি কেন্দ্রের ৪১ হাজার ১৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কোথাও ড্রপ আউটের খবর পাওয়া যায়নি। তবে নাম প্রকাশে অনু”ছুক এক কর্মকর্তা জানান, যেহেতু দীর্ঘদিন পর এসএসসি পরীক্ষা হচ্ছে, তাই যেসব শিক্ষাথী এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম ফিলাপ করেছে; আশা করি এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সকল শিক্ষাথী অংশ নিবে, ড্রপ আউটের সংখ্যা থাকবে না বললেই চলে।
উল্লেখ্য যে, দেশে বেশ কয়েক বছর ধরে ফেব্রæয়ারি মাসে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষা করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগেই পরীক্ষা শেষ হয়। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার নয় মাস পিছিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।