প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৩৫
কুমিল্লা ও হাজীগঞ্জে ঘটনার জের
জুমার নামাজের পর মুসল্লিদের মিছিল হয়নি, কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী
কুমিল্লা ও চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ঘটনার জের ধরে উত্তেজনা থাকলেও ১৫ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাঁদপুরের কোথাও আর কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ এদিন নিজ নিজ এলাকার জামে মসজিদগুলোতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জুমার নামাজ আদায় করেছে।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র বাইতুল আমান জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন অপরদিকে পুরাণবাজার বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে মোতায়েন ছিল ইন্সপেক্টর কেএম সোহেল রানার নেতৃত্বে পুরাণবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। সেখানে চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি জুমার নামাজের সময় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের গুজবে কান না দিয়ে কোন ধরনের বিক্ষোভ বা মিছিল না করার জন্য অনুরোধ করে বক্তব্য রাখেন।
জেলা শহরসহ বিভিন্ন জুমা মসজিদ এলাকাও ছিলো শান্তিপূর্ণ।
দুর্গাপূজার মধ্যে কুমিল্লার একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননা করা হয়েছে এমন খবরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও মন্দির-পুজামন্ডপে হামলা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে।এ ঘটনায় বুধবার হাজীগঞ্জ শহরে ৪ জন নিরীহ লোকের প্রাণহানি ঘটে। পরে স্থানীয় প্রশাসন ওই দিন রাত থেকে ১৪৪ ধারা জারি করে। যা ১৫ অক্টোবর শুক্রবার পর্যন্ত বলবৎ থাকতে দেখা যায়। মোতায়েন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুরের পরিবেশ স্বাভাবিক আছে। তারপরও হাজীগঞ্জের প্রতিটি পূজামণ্ডপ ও হাজীগঞ্জ বড় মসজিদ এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করতে বাড়তি পুলিশ ও বিজিবি মোতায়েন করা রয়েছে। কোনো ধরনের আশঙ্কা নেই।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ গণমাধ্যমকে বলেন, পবিত্র জুমার নামাজের দিন যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য ১৪৪ ধারা হাজীগঞ্জে অব্যাহত রাখা হয়েছে। তা ছাড়া দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ–বিজিবি সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে। এদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন দিচ্ছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। এই অবস্থায় চাঁদপুরে যেকোনো প্রকার অস্থিতিশীলতা প্রতিরোধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যবৃন্দ।