প্রকাশ : ০৪ মার্চ ২০২৫, ১১:২১
হাইমচরে গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ড

হাইমচর উপজেলার কেভিএন বাজারে সোমবার (৩ মার্চ ২০২৫) রাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দাবি, আগুনে প্রায় দু কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই আগুন লাগার ঘটনাটি ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন সব দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে ফার্মেসি, মুদি দোকান, মুরগির দোকান, সেলুন, হোটেলসহ বিভিন্ন ধরনের দোকান পুড়ে গেছে।
খবর পেয়ে হাইমচর ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। পরে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে আরও দুটি ইউনিট এসে স্থানীয়দের সহায়তায় প্রায় দু ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
হাইমচর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন লিডার রতন শেখ জানান, খবর পেয়ে তারা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। প্রাথমিকভাবে তাদের রিজার্ভ পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু রিজার্ভ পানি শেষ হয়ে গেলে পুকুর থেকে পানি নেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এ সময় মেশিনে ত্রুটি দেখা দিলে চাঁদপুর ও ফরিদগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট আনা হয়। তিনটি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, আগুনে তাদের প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারা সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।
ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রথম অবস্থায় হাইমচর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ঘটনাস্থলে আসলে মাত্র চারটি দোকানে আগুন লেগেছিল। তবে তাদের মেশিন নষ্ট থাকায় আমাদের অন্য দোকানগুলো আগুনে পুড়ে যায় এবং বিদ্যুৎ বন্ধ রাখার জন্যে পল্লী বিদ্যুৎকে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা কল রিসিভ করেনি। এতে করে আমাদের সব দোকান আগুনে পুড়ে গেছে। আমরা এখন কী করবো, কোথায় যাবো, কী খাবো বুঝতে পারছি না। আমাদের লক্ষ লক্ষ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেলো।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা জানান, আগুনের সূত্রপাত কোত্থেকে হয়েছে এখনও জানা যায়নি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
হাইমচর উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আমি দেখেছি সেখানে প্রায় ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে। ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ অফিসের দায়িত্ব অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবো। তদন্তের মধ্যমে দেখবো এটা কোনো ষড়যন্ত্র কি না।
জানা যায়, আগুন লাগার খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারী শাহজাহান মিয়া সহ অন্য নেতৃবৃন্দ। এছাড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি হাইমচর উপজেলা শাখা সহ অন্যান্য অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।