প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ১৮:৫২
কচুয়ায় ১৪ ঘন্টার ব্যবধানে স্বামী-স্ত্রীর ইন্তেকাল
কচুয়া উপজেলার আশ্রাফপুর গ্রামের কাজী তৈয়বুর রহমান রবিবার বিকেল ৫টার দিকে ও ১৪ ঘন্টা পর সোমবার সকাল ৭টার দিকে তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালি........রাজিউন)। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় আশ্রাফপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জানাযা একই স্থানে অনুষ্ঠিত হয়।
|আরো খবর
১০ মিনিটের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত জানাযা দ্বয়ে ইমামতি করেন, মরহুমদ্বয়ের জৈষ্ঠ্যপুত্র কাজী হাবিবুর রহমান। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়। কাজী হাবিবুর রহমান জানান, আমরা তিন ভাই ও চার বোন।
দুই ভাই ও তিন বোন প্রবাসে আছে। আমার পিতা আশ্রাফপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ান। তিনি কয়েকবার ব্রেন স্ট্রোক করেছেন। এছাড়াও তিনি হৃদরোগে ভুগে আসছিলেন। আমার মা ২৭ জুলাই হার্ট স্ট্রোক করেন।
তাছাড়া তিনি শ্বাসকষ্ট রোগেও ভুগে আসছিলেন। পিতার মৃত্যুতে তিনি খুবই ভেংগে পড়েন। আমার মা গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকবার বলে গেছেন “আমার ধারণা তোমার বাবা ও আমি একইসময়ে মরে যাব। আমাদের মৃত্যুর পর বাবা তুমি আমাদের জানাযা নামাজে ইমামতি করবে।” মায়ের কথাই সত্যে পরিণত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, একই স্থানে একই দিন সকালে আশ্রাফপুর ভোলাইর বাড়ির করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া রহমতের স্ত্রীর সাবিনা বেগম এর জানাযাও অনুষ্ঠিত হয়।