প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২১, ২০:২১
বাবুরহাট বাজার কী লকডাউনের আওতামুক্ত?
নির্দিষ্ট সময়ের পরও অনেক দোকান খোলা
চাঁদপুর পৌরসভার ১৪ নং ওয়ার্ড বাবুরহাট বাজার কী লকডাউনের আওতামুক্ত? আজ ৩০ জুলাই শুক্রবার সন্ধা ৬টায় বাবুরহাট বাজার ঘুরে দেখা যায় যে, সরকার ঘোষিত যে বিধি নিষেধ চলছে তার ছিটে ফোঁটাও এখানে নেই। বাজারের প্রায় অধিকাংশ দোকানই খোলা রয়েছে এবং বাজারে আগত ক্রেতা সাধারন ও উৎসুক জনতার উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।
|আরো খবর
জানা যায়, সরকার ঘোষিত বিধি নিষেধ আরোপিত হওয়ার পর থেকে বাজারে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত যাওয়ার পরপরই আবার প্রায় সকল দোকানিই দোকান খুলে। যার জন্য অভিযান অনেকটা ফলপ্রসু হচ্ছে না বলে জানান কয়েকজন।
এ বিষয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, চলমান লকডাউনে নিত্য প্রয়োজনীয় ও কাচামালের দোকান সকাল ৩ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত খোলা রাখার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাজারের ব্যবসায়ী বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে রাত প্রায় ১০ টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখছে। এদের কারনে পুরো বাজারের বদনাম হচ্ছে বলে তারা জানান। এ বিষয়ে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে অবহিত করেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান।
নাম প্রকাশে এক ব্যবসায়ী বাজারে যে দোকানগুলো নির্দিষ্ট সময় ৩টার পর খোলা থাকে সে দোকানগুলো নাম জানান। তিনি বলেন, বাজারের বড় মসজিদের সামনে সুফিয়া ষ্টোর, ইমরান ষ্টোর, মাছ বাজারের পূর্ব নিউ সালমিন ষ্টোর, মাছ বাজারের পশ্চিম দিকে গাজী ট্রের্ডাস, রিভা স্টোর, সানজিদা ষ্টোর, দক্ষিণ বাজার হোসেন ট্রের্ডাস, গিফট কর্ণারসহ মসজিদ রোডে রাস্তার উপর বসা সকল ফলের দোকানগুলো। এ বিষয়ে তারা জেলা প্রশাসকের ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটি আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষযে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, আমি অসুস্থতার কারনে বাজারে যেতে পারছি না। এছাড়া কমিটির অন্যান্য সদস্যরা নিষেধ করলে তা তারা অমান্য করছে।