প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৭:৩৭
হাজীগঞ্জে সেই বোগদাদ বাসের ঘাতক চালক আটক
শুক্রবার দুপুরে হাজীগঞ্জের ধেররায় চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কে বোগদাদ বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে নিহত হয় কুমিল্লার চান্দিনার ৩ যুবক। বোগদাদ পরিবহনের (নং- ঢাকা মেট্টো-ব ১৫-১৬৪৫) সেই বাসের ঘাতক চালক আবদুর রাজ্জাক (২৫) আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। একই বাসের কনট্রাকটর রিপন (২৬) হেলপার পলাতক রয়েছে।
জানা যায়, দুর্ঘটনার পর পর বাসের চালক রাজ্জাক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে বাসটিকে হাজীগঞ্জ বাজারে চালিয়ে নিয়ে তা রেখে হেলপার ও কনট্রাকটরসহ পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা চালককে আটক করে পুলিশে দেয়।
আটক চালক আবদুর রাজ্জাক জানান, কুমিল্লামুখী (হাজীগঞ্জগামী) তাদের বাসটি (বোগদাদ) চলন্ত অবস্থায় রিলাক্স পরিবহনের একটি বাসকে ওভারটেক করার সময় মোটরসাইকেলটি (ঢাকা মেট্টে ল- ১৭-৫২৭৪) তাদের বাসের সম্মুখে পড়ে দূর্ঘটনার শিকার হয়।
এদিকে খবর পেয়ে শুক্রবার বিকালে নিহতদের স্বজন, বোগদাদ পরিবহন কর্তৃপক্ষ, জেলা পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ঘাতক বাসের মালিক পক্ষের লোকজন হাজীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হন। পরিবহনের কিছু নেতা কনট্রাকটরকে ছড়িয়ে নিতে ও বিষয়টি নিয়ে সমাধানের জন্য তোড়জোড় করতে দেখা গেছে।
হাজীগঞ্জ থানা এলাকায় নিহতদের স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নিহত সোহাগ হোসেন চলতি বছর বিবাহ করেছেন। তার স্ত্রী সাত মাসের সন্তান সম্ভবা। অপর নিহত মনির হোসেন দুই শিশু সন্তানের জনক এবং সুজন অবিবাহিত ছিলেন। তাদের মৃত্যুতে নিজ নিজ পরিবার ও নিকট আত্মীয়-স্বজনের এবং ওই এলাকায় (বেলাশ^র) মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বোগদাদ বাসের চালক আব্দুর রাজ্জাককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হারুনুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
উল্লেখ্য কুমিল্লা জেলার চান্দিনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড বেলাশ্বর এলাকার মৃধা বাড়ির মো. আব্দুল কাদেরের মেঝো ছেলে মো. মনির হোসেন (৩৭), একই এলাকার হাজী বাড়ির তাজুল ইসলামের বড় ছেলে মো. সোহাগ হোসেন (২৮) ও একই বাড়ির মো. মজনু মিয়ার বড় ছেলে মো. সুজন হোসেন (২৬) চাঁদপুরের মোলহেডে ঘুরতে এসে উক্ত স্থানে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।