মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০:০৩

শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল।।
শাহরাস্তিতে মাদ্রাসার সভাপতি ও সুপারের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন
শাহরাস্তি মডেল মহিলা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মো. মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধনের একাংশ।

শাহরাস্তি মডেল মহিলা আলিম মাদ্রাসার সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম ও নবনিযুক্ত সুপার মো. মনিরুজ্জামানের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের বলশীদ এলাকায় অবস্থিত মাদ্রাসার সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নবগঠিত গভর্নিং বডির সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলাম জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটি ব্যক্তিগত আধিপত্যে পরিচালনা করছেন। এর অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দিয়েছেন। তার স্ত্রী নাজমা আক্তার অফিস সহকারী পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেও যোগদানের পর থেকে একদিনের জন্যও অফিসে উপস্থিত হননি, অথচ নিয়মিত বেতন-ভাতা ভোগ করে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসীর দাবি, সভাপতির পরিবারের আটজন সদস্য বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত। তারা আরও অভিযোগ করেন, সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের মাত্র তিনদিনের মাথায় গোপনে অর্থের বিনিময়ে সুপার পদে মো. মনিরুজ্জামানকে নিয়োগ দেন। মনিরুজ্জামান গত ৭ সেপ্টেম্বর যোগদান করেছেন। অথচ তিনি এর আগে কচুয়া উপজেলার ইউসুফ সফর আলী দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার ছিলেন, যেখানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর স্থানীয়দের চাপে তাকে বিতাড়িত করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মনিরুজ্জামান রাজনৈতিকভাবে বিতর্কিত ব্যক্তি এবং আওয়ামী লীগ সমর্থিত। ফলে তার নিয়োগ প্রতিষ্ঠানকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে।

ম্যানেজিং কমিটি গঠনের অনিয়ম প্রসঙ্গে অভিভাবক প্রতিনিধি খোরশেদ আলম বলেন, একদিন অফিসে গিয়ে আমাকে হঠাৎ অভিভাবক সদস্য হিসেবে স্বাক্ষর করতে বলা হয়। পরে বুঝতে পারি, এটি পরিকল্পিত কৌশল। তাই আমি অনাস্থা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, অসৎ উদ্দেশ্যে গোপনে এই কমিটি ও সুপার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। মানববন্ধনে বক্তারা স্পষ্ট করে জানান, সভাপতি আমিনুল ইসলাম ও সুপার মনিরুজ্জামানের অপসারণ না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী সৈয়দ আহমেদ দুলাল, কামরুল আহসান মজুমদার, মমতাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, শাহ আলম খান, বাবুল হোসেন পাটোয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিয়াজী, লিপন, মনির হোসেন, রুহুল আমিন পাটোয়ারী, কিরণ মুন্সি, সাগরসহ বহু অভিভাবক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়