সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩১ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২৫, ১৬:৪৩

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় বিষয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা

কামরুজ্জামান টুটুল।।
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় বিষয়ে  বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভা
পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে করণীয় বিষয়ে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের সচেতনতামূলক সভায় বক্তব্য রাখছেন অনুষ্ঠানের সভাপতি রৌশন আরা বেগম। ছবি : চাঁদপুর কণ্ঠ।

পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুরোধে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে সচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১১ আগস্ট ২০২৫) হাজীগঞ্জের বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অর্ধশত নারী অভিভাবকের অংশগ্রহণে উক্ত সভার আয়োজন করে বসুন্ধরা শুভসংঘ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখা।

বাকিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রৌশন আরা বেগমের সভাপতিত্বে ও বসুন্ধরা শুভসংঘ হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টুটুলের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি জুয়েল রানা তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবউল্যাহ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক লিটন ফরাজী, সহকারী শিক্ষক মর্জিনা বেগম, কামরুল ইসলামসহ অর্ধশত অভিভাবক।

সভার সভাপতি রৌশন আরা বেগম বলেন, শিশুর হাঁটা শিখা থেকে শুরু করে সাঁতার শিখানো পর্যন্ত প্রতিটা মা তার সন্তানকে চোখে চোখে রাখতে হবে। একটু ভুল হলে এ ভুলের মাশুল আপনাকেই দিতে হবে। সন্তানের প্রতি একটু খেয়াল রাখলে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমে যাবে। আমরা দেখেছি, গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার ঘটনা বেশি ঘটে।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবউল্যাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, গত এক বছর হাজীগঞ্জে প্রায় ৫০ শিশু পানিতে ডুবে মারা গেছে। এ সকল শিশুর সবার বয়স দেড় বছর থেকে ৪ বছরের মধ্যে। বাবারা কর্মের কারণে বাড়ির বাইরে থাকে, মায়েদের সচেতন থাকতে হবে, সন্তানকে সবসময় চোখে চোখে রাখতে হবে। ৪ বছর বয়সের পর শিশুদের ধীরে ধীরে সাঁতার শেখানো শুরু করানো যেতে পারে। সাঁতারের সাথে সাথে পানিতে ভেসে থাকার কৌশল শেখাতে হবে।

সংগঠনের যুগ্ম সম্পাদক ও নতুনের ডাক পত্রিকার সম্পাদক মহিউদ্দিন আল আজাদ বলেন, সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র যখন শিশুদের লাশগুলো দেখি, তখন নিজেকে স্থির রাখা যায় না। বাবা-মা ও অভিভাবকদের সবসময় শিশুদের পানির কাছাকাছি একা যেতে না দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। স্থানীয়ভাবে সভা, মসজিদে ঘোষণা, স্কুলে ক্লাস, লিফলেটের মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে সচেতন করতে হবে।

হাজীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান টুটুল বলেন, বাড়ির আশপাশের পুকুর, খাল, ডোবা, কূপ ও পানির ট্যাংক ঢেকে রাখা বা বেড়া দেওয়া যেতে পারে। ছোট শিশুদের জন্যে বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার জায়গা নির্ধারণ করা, যা পানির কাছাকাছি নয়, ছোট শিশুদের কখনোই পানির কাছাকাছি একা ফেলে রাখা যাবে না। ঘরের ভেতরে বালতি বা ড্রামে পানি থাকলেও ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পানি থেকে তোলার পর অবিলম্বে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস ও পালস পরীক্ষা করতে হবে । প্রাথমিক সিপিআর (CPR) জানা থাকলে তা প্রয়োগ করতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়