বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫  |   ২৭ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   ঢাকা থেকে উড্ডয়নের পরপরই তার্কিশ এয়ারলাইন্সের ইঞ্জিনে আগুন

প্রকাশ : ২১ মে ২০২৫, ২৩:৫৬

কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় শাহরাস্তি পৌরসভার হাটবাজারগুলোতে খাস আদায় হচ্ছে

মো. মঈনুল ইসলাম কাজল
কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় শাহরাস্তি পৌরসভার হাটবাজারগুলোতে খাস আদায় হচ্ছে

শাহরাস্তি পৌরসভার হাটবাজারে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় কোনো ইজারাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি। এতে করে রাজস্ব হারাতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পৌর এলাকার ঠাকুর বাজারের (গরুর হাট) ইজারা বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। এতে কোনো দরপত্র আবেদন করেননি কেউ। ৬ মার্চ ২০২৫ পুনরায় বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে সেখানেও আবেদন পাওয়া যায়নি। ১৮ মার্চ তৃতীয়বারের মতো বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলে মাত্র দুটি আবেদন জমা হয়। এতে সর্বোচ্চ মূল্য পাওয়া যায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। যদিও সরকারি হিসেবে কাঙ্ক্ষিত মূল্য দেয়া রয়েছে ৬ লাখ টাকা। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। একই সাথে ঠাকুরবাজার ও মেহের কালীবাড়ি তোহা বাজারেও কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শহরের প্রাণকেন্দ্র মেহের কালীবাড়ি তোহা বাজারের কাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। কিন্তু দরপত্রে আবেদনে ১ লাখ ৩৫ টাকা পাওয়ায় আবেদন বাতিল করা হয়। শহরের ঐতিহ্যবাহী ঠাকুর বাজারের (তোহা) তিনবার বিজ্ঞপ্তি দিয়েও কাঙ্ক্ষিত মূল্য পাওয়া যায়নি। বাজারটির কাঙ্ক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু সর্বোচ্চ দরদাতা পাওয়া যায় মাত্র ২ লাখ টাকায়।

বিগত বছরগুলোতে চাহিদার অতিরিক্ত মূল্যে বাজারগুলো ইজারা নিতে প্রতিযোগিতা শুরু হতো। কিন্তু হঠাৎ করে চাহিদা কমে যাওয়ায় বিষয়টি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। অনেকেই জানান, সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে রাজস্ব হারাতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিগত সরকারের আমলে সরকারিভাবে ৬ লাখ টাকা দিয়ে ঠাকুর বাজার (গরু) ইজারা দেয়া হলেও তৎকালীন মেয়রের পকেটে ঢুকেছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। তৎকালীন সিন্ডিকেট এখনো তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।

শাহরাস্তি পৌরসভার দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য উপজেলা প্রকৌশলী সৌরভ দাস জানান, পৌর হাটবাজারের ইজারাগুলোতে কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

শাহরাস্তি পৌরসভার প্রধান সহকারী নজরুল ইসলাম জানান, কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারগুলোতে খাস আদায় শুরু করেছে। এতে পৌরসভার হিসাব রক্ষক মানিক লাল ঘোষ, ক্যাশিয়ার ছোটন চন্দ্র বিশ্বাস ও মেশিন অপারেটর আবু সুফিয়ানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিগার সুলতানা জানান, কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পাওয়ায় খাস আদায় হচ্ছে। এতে আমাদের কিছুই করার নেই। আইনের বাইরে আমরা যেতে পারবো না।

এদিকে যথাযথভাবে খাস আদায় ও জমা নিয়ে রয়েছে পৌরবাসীর মধ্যে নানা গুঞ্জন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়