প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৫, ২০:২৮
সরকারি শিশু পরিবারের ভেঙ্গে ফেলা সীমানা প্রাচীর ৯ মাস পর মেরামত করে দিলো জেলা প্রশাসন
এবার দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো : জেলা প্রশাসক

চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবারের সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলেছিল স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত। তারা কর্তৃপক্ষের সাথে কোনো কথা না বলে দেয়ালটি ভেঙ্গে তাদের যাতায়াতের পথ তৈরি করেছে। ফলে শিশু পরিবারের শতাধিক এতিম শিশু, মেয়েসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছিলেন চরম নিরাপত্তাহীনতায়। বিষয়টি জানার পর স্থানীয় প্রশাসন বৃহস্পতিবার (৮ মে ২০২৫) সেই পথ আবারো দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছে।
|আরো খবর
চাঁদপুর সরকারি শিশু পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ২০২৪ রাতে স্থানীয় কিছু দুর্বৃত্ত শিশু পরিবারের পদ্মা ভবন সংলগ্ন উত্তর পশ্চিমের সীমানা প্রাচীরের প্রায় ৯ ফুট দেয়াল ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থেকে শিশু পরিবারের শতাধিক এতিম শিশু ও মেয়েসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চরম নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকিতে ছিলেন। প্রায়ই এসব দুর্বৃত্ত শিশু পরিবারে দিনরাত প্রবেশ করে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবন করা, আড্ডা দেয়াসহ বিভিন্ন গাছের ফলফলাদি চুরি করে নিয়ে যেতো। কিন্তু দুর্বৃত্তদের ভয়ে তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পরতেন না।
শিশু পরিবারের একাধিক শিশু জানায়, তাদের সীমানা দেয়াল ভেঙ্গে ফেলায় দিনে বা রাতে শিশু পরিবারের ভবন থেকে তারা বের হতে পারতো না। বের হলে বখাটে ছেলেরা তাদের সাথে ইভটিজিংসহ খারাপ আচরণ করতো। বিষয়টি শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে অবহিত করেন। পরে বৃহস্পতিবার পুলিশি প্রহরায় নতুন করে সীমানা দেয়াল তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়। শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ ছায়েফ উদ্দিন বলেন, এর আগে ২০১৮ সালে একই স্থানে একই দুর্বৃত্তরা শিশু পরিবারের ভেতর দিয়ে জোরপূর্বক চলাচলের চেষ্টা করলে তৎকালীন জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ্র সরকার সেখানে সীমানা দেয়াল তৈরি করে দেন। কিন্তু গত ৫ আগস্ট রাতে সরকার পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী মালি বাড়ির একদল দুর্বৃত্ত পুনরায় তাদের সীমানা দেয়াল রাতের অন্ধকারে ভেঙ্গে ফেলে। এরপর থেকে শিশু পরিবারের সবাই চরম আতঙ্কে দিন কাটাতেন। বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বিষয়টি জানার সাথে সাথে পুলিশি সহায়তা নিয়ে নতুন করে আবারো সেখানে সীমানা দেয়াল তৈরি করেন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা এবার সেসব দুর্বৃত্তকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবো। যাতে করে তারা আবার সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক ভেঙ্গে প্রবেশ করে সেখানে কোনো অপ্রীতিকর কিছু করতে না পারে।