প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৫, ২০:৪৯
বদর দিবসে ইসলামী ফ্রন্টের আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে বক্তাগণ
সাহাবায়ে কেরামের মতো নবীপ্রেম জাগ্রত হলেই আমরা সেই গৌরব ফিরে পাবো

১৭ রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আদর্শবাহী সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার আয়োজনে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ ২০২৫) বিকেলে চাঁদপুর প্রেসকাব ভবনস্থ এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য পীরে তরীকত আল্লামা আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরী। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন গাউছিয়া বোরহানিয়া দরবার শরীফের পীর সাহেব আল্লামা হাফেজ মাওঃ মোঃ রফিকুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত চাঁদপুর জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাওলানা এএইচএম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক কাদের পলাশ, কামরাঙ্গা ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. আবু তাহের, বাগাদী দরবার শরীফের পীরজাদা মাও. মো. মাহফুজ উল্লাহ ইউসুফী, গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশ দাম্মাম সৌদি আরব শাখার সভাপতি হাফেজ মাও. মুজাম্মেল হক।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মুফতি রফিকুল ইসলাম আল-কাদেরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির ও মাও. নোমান আহমাদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি মো. কামরুল হাসান, যুবসেনার সভাপতি মো. বজলুর রশিদ সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. নবাব খানসহ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, মদিনায় ইসলামের সমৃদ্ধি ও গণজাগরণে ভীত হয়ে কাফিররা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের পবিত্র মাসে এ যুদ্ধে লিপ্ত হয়। মহান বদর যুদ্ধের ঐতিহাসিক তাৎপর্য ও গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তারা আরো বলেন, এ দিবসকে ইয়াওমুল ফোরকান তথা হক ও বাতিলের পার্থক্য করার দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেদিন ঈমানী চেতনায় স্বল্পসংখ্যক মুহাজিদ বাহিনী বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষিত কাফির সৈন্যবাহিনীকে পরাস্ত করে ইসলামের পতাকাকে উড্ডীন করেছেন। প্রিয় নবীর সাহাবাগণের মধ্যে যে নবীপ্রেম ছিলো সে প্রেম আমাদের মধ্যে জাগ্রত হলেই আমরা আবার সেই গৌরব ফিরে পাবো।
বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে কিশোরের লাশকে ক্ষতবিক্ষত করে জ্বালিয়ে ভস্মীভূত করে উল্লাস করা হচ্ছে। বোমা মেরে ঘরবাড়ি ছাড়া করছে ফিলিস্তিনী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে। শতাব্দীকালের এ বিষফোঁড়া ইসরাইল আর কতোদিন মুসলমান অসহায় নারী ও শিশুর রক্ত ঝরাবে?
বাংলাদেশ ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনা চাঁদপুর জেলা শাখার সার্বিক ব্যবস্থাপনায় আরো বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ওলামায়ে কেরাম ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে মিলাদ, কিয়াম ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে নাতে রাসুল পরিবেশন করেন শায়ের মো. হেলাল উদ্দিন ও কুরআন তেলাওয়াত করেন হাফেজ মো. আবদুর রহমান ।