বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৫

ছাত্র-জনতার আন্দোলন

হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেলহাজতে

আদালত প্রতিবেদক ॥
হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেলহাজতে

হাজীগঞ্জে গেলো বছর (২০২৪) ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহারের আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবদেন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীরা হলো : মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।

মামলার বিতরণ থেকে জানা গেছে, গেলো বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি, পরবর্তীতে ভাংচুর, লুট ও কর্মচারীদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

মামলার এজাহারনামীয় উল্লেখিত ৫ আসামী ৬ জানুয়ারি ২০২৫ উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ৬ সপ্তাহ শেষ হলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনীজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম। সহযোগী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শামছুল ইসলাম মন্টু, এপিপি অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও এপিপি অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. ইমাম হোসাইন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়