প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৩৫
ছাত্র-জনতার আন্দোলন
হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেলহাজতে
![হাজীগঞ্জে ভাংচুর-লুটপাটের মামলায় পাঁচ আসামী জেলহাজতে](/assets/news_photos/2025/02/11/image-58842-1739284778bdjournal.jpg)
হাজীগঞ্জে গেলো বছর (২০২৪) ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর, লুটপাট ও কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার ৫ আসামীকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহারের আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবদেন করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীরা হলো : মহিন উদ্দিন (২৫), রাসেল ওরফে গোদা রাসেল (৩০), শুকু ওরফে শুকুর আলম (৪৮), আদর কাশারী (২০) ও রায়হান কাশারী (২৫)। আসামীরা হাজীগঞ্জ উপজেলার শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী।
মামলার বিতরণ থেকে জানা গেছে, গেলো বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ৪ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাজীগঞ্জ পূর্ব বাজারে মেসার্স মার্সেল (ইলেকট্রোল্যান্ড) নামক প্রতিষ্ঠানে চাঁদা দাবি, পরবর্তীতে ভাংচুর, লুট ও কর্মচারীদের হামলা করে আহত করে। এতে প্রতিষ্ঠানের তিনটি ফ্লোরের ১ কোটি ৫৮ লাখ ৭৬ হাজার ৭১০ টাকার মালামাল লুট ও ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ ঘটনায় ২০ আগস্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মিজানুর রহমান সেলিম বাদী হয়ে হাজীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৭৪জন নামীয় ও ১০০-১৫০জন অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
মামলার এজাহারনামীয় উল্লেখিত ৫ আসামী ৬ জানুয়ারি ২০২৫ উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। ৬ সপ্তাহ শেষ হলে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সরকার পক্ষের আইনীজীবী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাড. কুহিনুর বেগম। সহযোগী ছিলেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. শামছুল ইসলাম মন্টু, এপিপি অ্যাড. ইয়াসিন আরাফাত ইকরাম ও এপিপি অ্যাড. মুজাহিদুল ইসলাম সাদ্দাম। আসামী পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. মো. ইমাম হোসাইন।