শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৫

হাজীগঞ্জে নির্দেশ না মেনে সওজের জমি দখলের অভিযোগ

হাজীগঞ্জে নির্দেশ না মেনে সওজের জমি দখলের অভিযোগ
হাজীগঞ্জ ব্যুরো

হাজীগঞ্জে সওজের নির্দেশ না মেনে তাদের দাবিকৃত জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সওজের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সংশ্লিষ্টদের মৌখিক নির্দেশ দেবার পরেও তা না মেনে কাজ অব্যাহত রাখার অভিযোগে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে গত বুধবার (৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) মৌখিকভাবে এ অভিযোগ করা হয়। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি মো. আক্তার হোসেন চাঁদপুর কণ্ঠকে জানান, আমি আমার জমিতে রয়েছি। আমি সওজের জমিতে কাজ করি নাই।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অভিযুক্ত আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে সওজের দায়ের করা মামলা আদালতে চলমান থাকার পরেও হাজীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে এবং বাধা উপেক্ষা করে পৌরসভাধীন ২১২নং হাল ৮৪নং খাটরা-বিলওয়াই মৌজা সিএস ২৯, এসএ ২৭, বিএস ৭৪৮নং খতিয়ানভুক্ত সরকারি সম্পত্তি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।

আরো জানা যায়, হাজীগঞ্জ পশ্চিম বাজারস্থ মিঠানিয়া ব্রীজের পশ্চিম পাশে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের কোল ঘেঁষে সড়কের দক্ষিণ পাশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমি দখল করে দোকানঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেন পৌরসভাধীন ৩নং ওয়ার্ডের ধেররা এলাকার আক্তার হোসেন। খবর পেয়ে সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

সরকারি এ কর্মকর্তা এ সময় প্রয়োজনীয় ও সম্পত্তি অধিগ্রহণের কাগজপত্র দেখে দোকানঘর নির্মাণকৃত স্থানটি সড়ক বিভাগের নিজস্ব সম্পত্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং আক্তার হোসেনকে দোকানঘর নির্মাণে নিষেধ করে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেন দেন। কিন্তু আক্তার হোসেন নির্দেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মাণের কাজ অব্যাহত রাখেন। পরবর্তীতে বিষয়টি আবু হানিফ হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুককে অবহিত করেন।

সওজ কর্তৃপক্ষ সূত্র জানান, ১৯৪২-৪৩ সালে এবং ১৯৫৬-৫৭ সালে ওই স্থানসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ করে সরকার। যা ঢাকা গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া উল্লেখিত ভূমিতে সড়কের মামলাও চলমান রয়েছে।

এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে আক্তার হোসেন বলেন, ওই খতিয়ানের ৪৪৫ দাগে ৭৮ শতাংশ সম্পত্তি রয়েছে। এর মধ্যে সিএন্ডবি অধিগ্রহণ করেছে ১৬ শতাংশ, কিন্তু তারা পরবর্তীতে রেকর্ড করে ২১ শতাংশ। এছাড়াও অধিগ্রহণ ছাড়াই আরএস খতিয়ানের মাধ্যমে জানতে পারি সিএন্ডবি আরো ২২ শতাংশ রেকর্ড করে। এ সময় তিনি আরো বলেন, সিএন্ডবির সম্পত্তি ৮০২নং খতিয়ানে, আর আমাদের সম্পত্তি ৮০৩নং খতিয়ানে। যার ফলে আমরা আমাদের সম্পত্তি ভোগ-দখলে আছি। যেহেতু বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে, তাই আমরা আইনিভাবেই মোকাবেলা করবো।

এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ সড়ক উপ-বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ বলেন, গত বুধবার আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আক্তার হোসেনকে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছি। কিন্তু তিনি জোরপূর্বকভাবে দোকানঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন। যার ফলে বিষয়টি আমি ওসি সাহেবকে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। এরপরও যদি তিনি কাজ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়