প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১:৪৪
চাঁদপুরে নানা আয়োজনে বড়দিন উদযাপন
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর ২০২৪) চাঁদপুরে শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।) সকাল থেকে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর কর্মসূচি পালিত হয়। চাঁদপুর শহরের কবি নজরুল সড়কস্থ ব্যাপ্টিস্ট চার্চে সমবেতভাবে দেশ ও জাতির কল্যাণে প্রার্থনা, আলোক প্রজ্জ্বলন, কেক কাটা ও ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনসহ নানা আয়োজন করা হয়। এতে চাঁদপুরের বিভিন্ন স্থানের খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা অংশগ্রহণ করেন। পাশাপাশি এই উৎসব দেখার জন্যে অন্য ধর্মের মানুষও উপস্থিত হন সেখানে। সন্ধ্যায় চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে শুভেচ্ছা বিনিময় ও কেক কেটে শুভ বড়দিন উদযাপনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) রাশেদুল হক চৌধুরী ও চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত। অনুষ্ঠানে অতিথিদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বাহার মিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সকল ধর্মের মূল কথাই হচ্ছে মানুষের সেবা ও কল্যাণ। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্যে আজকের এই দিনটি অত্যন্ত আনন্দের, হাসিখুশির। এই দিনটি আপনাদের জন্যে বয়ে আনুক শান্তির ছায়া। আপনাদের যে যিশু খ্রিস্টের কথা বলেন, যাঁকে বিশ্বাস করেন, তাঁকে বিশ্বাস করেই আপনাদের আগামীর পথচলা হোক মঙ্গলময় ও দীর্ঘায়ু। জেলা প্রশাসক বলেন, আমাদের বাংলাদেশে খ্রিস্টান ধর্ম তৃতীয় বৃহত্তম। আমরা সকলেই মিলে মিশে এই দেশে শান্তিতে থাকতে চাই। আজকের দিনে আপনাদের সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। হিম মার্ক চৌধুরী ও স্বীকৃতি গাইন (ত্রয়ী)-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে চাঁদপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক (সভাপতি) রসি বর্মন, সম্পাদক সুভাষ মন্ডলসহ চাঁদপুর জেলার সকল খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়ে আগামী দিনের সুখের জন্যে বিশেষ প্রার্থনা করেন তারা। প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ-শান্তির প্রত্যাশা করেন তারা। একই সঙ্গে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়। দিনটি উপলক্ষে চাঁদপুরের চার্চ ও গির্জাগুলো ফুল, নানা রঙের বেলুন, নকশা করা কাগজ ও জরি ব্যবহার করে সাজানো হয়েছে। পাশাপাশি বড়দিন পালনে সেজেছে বাড়ি-ঘরও। খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের জন্যে কিনেছেন বাহারি রঙের পোশাক। বাড়িতে বাড়িতে রান্না করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবার। রঙিন কাগজ, ফুল ও আলোকসজ্জায় সেজেছে চার্চ ঘর, ক্রিস্টমাস ট্রি এবং প্রতীকী গোশালা ঘর। প্রার্থনায় অংশ নিতে ভোরে গির্জায় সমবেত হন খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। প্রার্থনায় যিশুর মহিমাকীর্তন এবং শান্তি ও ন্যায়ের কথা বলা হয়। এদিকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্নে বড়দিন উদযাপনে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পাশাপাশি আনসার সদস্যও মোতায়েন রাখা হয়।