প্রকাশ : ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২২:১৭
কচুয়ায় বিধবা নারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ
কচুয়ার সফিবাদ গ্রামে এক বিধবা নারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুর এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মৃত ইবরাহীম ফকিরের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে ২০ নভেম্বর প্রতিপক্ষ মোহাম্মদ আলী, নুরুন্নাহার বেগম, কুহিনুর বেগম ও পারভিন বেগমকে অভিযুক্ত করে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রোজিনার স্বামী ইব্রাহীম ফকির দীর্ঘদিন আটক থেকে ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি লিবিয়ায় দালালের খপ্পরে পড়ে মারা যান। পরবর্তীতে তার স্বামীর লাশ লিবিয়া থেকে দেশে এনে সফিবাদে দাফন করা হয়। স্বামীর অবর্তমানে রোজিনা বেগম তার তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে গ্রামবাসীর সার্বিক সহযোগিতায় বসবাস করে আসছেন। তিনি আরো জানান, আমার স্বামী প্রবাসে মারা যাওয়ার পর অবুঝ তিন ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে স্থানীয়দের পাশাপাশি ওই এলাকার সফিবাদ আল ফালাহ সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এবং আর্থিক সহায়তায় একটি নতুনঘর নির্মাণ করে দেয়া হয়। ওই ঘরে আমি ছেলে-মেয়েদের নিয়ে খুবই কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। কিন্তু আমার সম্পর্কীয় ভাসুর মোহাম্মদ আলী সম্প্রতি আমার রান্নাঘর ও টিউবওয়েল সরিয়ে নিতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী বহিরাগত লোকজন এনে আমার রান্নাঘরের বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করে এবং আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার হুমকি প্রদান করে। আমি আমার অসহায় তিন ছেলে-মেয়ে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। আমি প্রশাসনসহ এলাকাবাসীর সহযোগিতা চাই।
স্থানীয় অধিবাসী মুসলেম মিয়া জানান, ইব্রাহীম মারা যাওয়ার আগ থেকেই এই স্থানে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছে। কিন্তু বর্তমানে মোহাম্মদ আলী প্রভাব খাটিয়ে বিধবার স্ত্রী-সন্তানদেরকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে। গ্রামবাসী বাধা দিলে উল্টো তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। বর্তমানে মৃত ইব্রাহীমের স্ত্রী রোজিনার একটি মানব পাচার ও হত্যা মামলা চলমান রয়েছে।
সরজমিনে খবর নিয়ে জানা যায়, উক্ত মামলার বিবাদীগণের সহায়তাকারী হলো মৃত ইব্রাহীমের বাবার প্রথম সংসারের বড়ো ভাই মাওলানা মোহাম্মদ আলী। এই মামলা পিবিআই চাঁদপুর তদন্ত করছে। রোজিনা বেগম এই ঘটনায় এলাকাবাসী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, কচুয়া থানা এবং পিবিআই চাঁদপুরের নিকট আইনি সহায়তা এবং সন্তানসহ নিজের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যবস্থাগ্রহণের জরুরি পদক্ষেপ কামনা করেছে।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মো. আ. হালিম জানান, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।