প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৪, ২১:০৫
চাঁদপুরের মেঘনার পানি বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নীচে
জলাবদ্ধতায় বহু গ্রাম এখনো প্লাবিত
ভারী বৃষ্টি এবং উজানে ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে দেশের ১১ জেলা হঠাৎ বন্যার কবলে পড়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টি কমে আসবে।
|আরো খবর
কদিনের টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার বহু ইউনিয়নের বাসিন্দারা বর্তমানে পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন এবং বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের সংকটে ভুগছেন।
চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পানি বিপদসীমার এখনো ৩০ সেন্টিমিটার নীচে রয়েছে তাই কেউ কোন প্রকার আতঙ্কিত বা গুজবে কান দেবেন না।
২৩ আগস্ট শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম। এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ‘চাঁদপুরে মাইকিং হচ্ছে, মেঘনা নদির পানি বিপদসীমার উপরে। যে কোন সময়ে বাঁধ ভেঙ্গে যেতে পার। সাবাই সতর্ক হোন।’ পরে বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে দপ্তরটির নির্বাহী প্রকৌশলী এটি স্রেফ গুজব বলে এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছেন।
জহুরুল ইসলাম আরও বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চর বাগাদীতে কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট গর্ত হয়েছে। তা সংস্কার করা হয়েছে। কুমিল্লার পানি চাঁদপুরের মেঘনা দিয়ে নামলেও হয়তো পানির লেভেল কিছুটা বাড়তে পারে তবে এখনো এ জেলা শঙ্কামুক্ত। এছাড়া ফরিদগঞ্জ, কচুয়া ও হাইমচরসহ অন্যান্য স্থান বৃষ্টির কারনে জলাবদ্ধতায় মানুষ বিপাকে। সেটিও বন্যার পানি নয়। আমরা অন্য নদীগুলোর পানির লেভেল পরিমাপ না করলেও সেটিও চাঁদপুরের জন্য বিপদজ্জনক নয় বলে খবরাখবর রাখছি।
এদিকে মাইকিং করার বিষয়টি খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, আবহাওয়া ও ত্রুটি জনিত কারনে শনিবার চাঁদপুর শহর ও হাইমচরে সকাল ৮টা হতে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না সেটিই সংশ্লিষ্ট বিভাগ জনসাধারণকে মাইকিং করে ঘুরে ঘুরে জানিয়েছে।