প্রকাশ : ২১ আগস্ট ২০২৪, ২০:৩৪
বন্যার আশঙ্কা
চাঁদপুরেও বাড়ছে নদীর পানি
৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা, ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা এই চার নদীতে পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে।মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার প্রচুর বৃষ্টি হয়। অতিবৃষ্টির কারণে গ্রামীণ জনপদ বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। শহরের অনেক জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
|আরো খবর
জানা গেছে, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে পুরো চাঁদপুর জেলাজুড়ে। বেশিরভাগ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে সীমাহীন ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন শহর ও উপজেলার বাসিন্দারা। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে আমন ধানের বীজতলা, শাক-সবজি। এছাড়া মাঠে পানি বেশি থাকায় অনেক এলাকার কৃষক খেতে আমন লাগাতে পারছেন না। জলাবদ্ধতায় আটকে আছে বহু মানুষ। ডুবে গেছে সড়ক, বাসাবাড়িতেও ঢুকছে পানি।
বহু এলাকায় চাষকৃত মাছ ভেসে গেছে।
পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে চাঁদপুরবাসীর। জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ চায় পানিবন্দী মানুষজন।
চাঁদপুর আবহাওয়া অফিস বলছে,
মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দিনেও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
টানা বৃষ্টির কারণে চাঁদপুর শেষ প্রকল্প ও মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের অভ্যন্তরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
যার ফলে সড়ক, মাছের ঘের ও বসবাড়িতে পানি উঠেছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে বহু পরিবার।
চাঁদপুর সদর উপজেলার হরিনা ফেরিঘাট এলাকার বাসিন্দা গৃহিণী খাদিজা বেগম (৫৫) জানান, বালু দিয়ে আশপাশের জায়গা ভরাট করায় অতিবৃষ্টির পানি নামতে পারছে না। আমার পাকের ঘর ও নলকূপ পর্যন্ত পানি উঠে গেছে।
বালিয়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামের শরীফ পাটোয়ারী জানান, তাদের বাড়ির চারপাশ ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। ফরাক্কাবাদ বাজার থেকে বালিয়া যাবার রাস্তার বিভিন্ন জায়গা ভেঙ্গে পড়েছে।
এছাড়া শহর ও গ্রামের অনেক বাসিন্দারা
জানায়, তাদের চলাচলের রাস্তা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। মানুষের বাসার ভিতরে পানি থৈ থৈ করছে। এতে মানুষ বাসা থেকে বের হতে পারছেন না। বাড়িতেও পরিবারের লোকজন পানিবন্দী রয়েছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আল-আমিন জানান, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সড়ক ও বসতবাড়িতে পানি উঠেছে। বেড়ি বাঁধের পানি না কমায় মাছের ঘেরগুলো নিয়ে খামারিরা খুবই দুশ্চিন্তায় আছে। পানি বন্দি লোকজনও পরিবারের শিশু ও বয়স্ক সদস্যদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন।পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি। জোয়ারের সময় পানির উচ্চতা ছিলো ৩.৭ সেন্টিমিটার এবং ভাটার সময় ছিলো ৩.৬ সে.মি।