প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২১, ২২:৫০
পুরানবাজার জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের পুরস্কার বিতরণ
আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী : মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল
পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে চাঁদপুর পুরাণবাজার জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদ আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার ছিল শেষদিন। শেষদিন সন্ধ্যায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
|আরো খবর
তিনি সকলকে জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, দুষ্টের দমন আর সৃষ্টির পালনের জন্য শ্রীকৃষ্ণ দ্বাপর যুগে পৃথিবীতে আগমন করেছেন। তিনি অত্যাচারী রাজা কংসকে বধ করে পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন করছেন। আজ পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথিতে আপনাদের আয়োজনকে স্বাগত জানাই। ধর্ম যার যার উৎসব সবার। তাই আমি সকল উৎসবে আপনাদের সফলতা কামনা করি। তিনি হরিসভাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমার করোনা ভাইরাস পজিটিভ ছিলো। সে সময় আপনারা আমার সুস্থতা কামনা করে এই মন্দিরে প্রার্থনার আয়োজন করেছেন। চাঁদপুরবাসীর অনেকেই আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমি এজন্যে আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
তিনি নির্বাচনকালীন প্রতিশ্রুতির কথা স্মরণ করে বলেন, আমার চেষ্টা রয়েছে চাঁদপুরের ব্যবসা বাণিজ্যের হারানো অধিকার ফিরিয়ে আনাসহ নান্দনিক চাঁদপুর গড়ে তোলা। আর তা করতে হলে নদীভাঙ্গন থেকে চাঁদপুর শহরকে রক্ষা করা। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি সেই কাজটি করছেন। তিনি চাঁদপুর শহর রক্ষায় স্থায়ীবাঁধ নির্মাণে একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং সেমতে কাজ করছেন। আপনারা হতাশ হবেন না। শহর রক্ষাবাঁধ রক্ষায় যা যা করণীয় তা ডাঃ দীপু মনি করবেন এবং পৌর মেয়র হিসেবে আমার চেষ্টাও অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। তা রক্ষায় আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।
পুরাণবাজার জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি প্রণব সাহা নন্দুর সভাপ্রধানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহম্মদ আলী মাঝি, চাঁদপুর শহর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক লক্ষন চন্দ্র স্ত্রূধর, পুরাণবাজার জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাবেক সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক ডাঃ সহদব দেবনাথ, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা রাজীব, সহ-সাধারণ সম্পাদক রিপন সাহা, রাজন চন্দ্র দে, মানিক সাহা প্রমুখ। অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের খ্যাতিমান শিল্পীরা নৃত্য ও সঙ্গীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানকে ঘিরে ভক্ত অনুরাগীদের মাঝে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য পরিলক্ষিত হয়।