বুধবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২১, ১৪:১৫

ফ্রান্স পতাকা নষ্ট করায় ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে ফ্রান্স প্রবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন

অনলাইন ডেস্ক
ফ্রান্স পতাকা নষ্ট করায় ক্ষতিপূরণ ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে দাবিতে ফ্রান্স প্রবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলন
সাংবাদিক সম্মেলন করছেন ফ্রান্স প্রবাসী আলী নাজিরের স্ত্রী রোজিনা

চাঁদপুরের আশিকাটির হোসেনপুরে ৩২ কিলোমিটার লম্বা ফ্রান্সের জাতীয় পতাকা নষ্ট করায় এর ক্ষতিপূরণ ও আসামীদের গ্রেফতারের দাবিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ফ্রান্স প্রবাসী আলী নাজির মিজির পক্ষে তার স্ত্রী রোজিনা বেগম। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান এ সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ফ্রান্সের স্বাধীনতার বিজয় দিবসে ফ্রান্সের সরকারকে উপহার দেয়ার জন্য আমি ও আমার পরিবার বাংলাদেশে ৩২ কিলোমিটার লম্বায় এবং ৪৫ মন ওজনের ফ্রান্সের জাতীয় পতাকা তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেই। যেহেতু পতাকাটি ফ্রান্সে প্রদান করবো, সেহেতু স্থানীয় এলাকার মানুষকে দেখানোর জন্য তাৎক্ষণিক পতাকাটি তৈরিকৃত ১৪ কিলোমিটার পতাকাটি ২০১৮ সালে ১ মার্চ স্থানীয় পল্লীমঙ্গল হাই স্কুলে বাংলাদেশ কেন্দ্রিয় আ’লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দির উপস্থিতিতে পতাকাটি প্রদর্শন করি। ঐ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশেরও ১ হাজার পতাকা তৈরি করে স্থানীয় জনসাধারণকে উপহার দেয়া হয়।

২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর ৩২ কিলোমিটার লম্বায় ফ্রান্স পতাকা তৈরির কাজ শেষ হয়।

ঐদিনই স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ডের স্থানীয় মেম্বার আলমগীর আমাদের পরিবারের কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। যদি টাকা না-ই দেই, তাহলে তৈরিকৃত পতাকা বাড়িতে এসে পুড়িয়ে ফেলার হুমকি দেয়।

এরপর দিন অর্থাৎ ৩০ অক্টোবর ২০২০ আমি ও আমার পরিবার টাকা দিতে অস্বিকার করলে স্থানীয় মেম্বার আলমগীরসহ কিছু সন্ত্রাসী আমাদের বাড়ি এসে সবকিছু ভাংচুর করে এবং আমার স্ত্রী রোজিনাকে মারধর করে। এরই প্রেক্ষিতে আমি তৎকালীন পুলিশ সুপার ও অসি মো: নাসিম উদ্দিনকে বিষয়টি অবহিত করি। পরবর্তীতে ৩১ অক্টোবর ২০২০ তারিখে পুলিশ সুপার ও অসির পরামর্শক্রমে থানায় এসে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের ২টি মামলা করে আমার স্ত্রী। মামলার পরপরই অসি আমাদের থানায় রেখে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান।

তিনি গিয়ে দেখেন জাতীয় পতাকাটি স্থানীয় মেম্বার ও তার লোকজন টুকরো টুকরো করে ফ্রান্সের পতাকাটি কাটছেন। এতে আমার স্ত্রীর ছোট ভাই রিয়াদ গাজী এতে বাঁধা দিলে অসি উল্টো আমার স্ত্রীর ছোট ভাই রিয়াদকে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসে এবং আমার শ্বশুড় বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে সবকিছু তছনছ করে মোবাইলগুলো জব্দ করে নিয়ে আসে।

এদিকে আমরা আত্মীয়স্বজন টুকরো টুকরো করা পতাকাটি কুড়িয়ে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আমার পরিবার টুকরো টুকরো পড়ে থাকা পতাকাটি সেলাইয়ের জন্য ২টি হাইপাওয়ার সেলাই মেশিন কিনে পতাকাটি সেলাইয়ের চেষ্টা করি। ঐদিনই ওসি নাসিম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নতুন কেনা হাইপাওয়ার সেলাই মেশিন ও পতাকা জব্দ করে নিয়ে আসে।

আমরা ২৮ মার্চ ২০২১ তারিখে মামলার অগ্রগতি জানতে চাইলে মামলার কোনো অস্তিত্ব নাই বলে থানা কর্তৃপক্ষ জানায়। পরবর্তীতে আমরা ঐদিনই স্থানীয় কমিশনার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর জজকোটে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করি। মামলা করায় স্থানীয় কমিশনার আলমগীর ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার শ্বশুড় খোকন গাজীকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আহত করে। এরই প্রেক্ষিতে আমরা ২ মে ২০২১ আরো একটি মামলা করি।

৭ জুন ২০২১-এ আমাদের তৈরিকৃত ফ্রান্সের পতাকার জন্য ৮০ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে আরেকটি মামলা দায়ের করি। এছাড়া ১৬ জুন ২০২১ তারিখে ৪র্থ মামলা করি। যেখানে উল্লেখ করা হয় যে, স্থানীয় মেম্বার ও তার সন্ত্রাসীরা বাড়িতে এসে আমাদের পরিবারের সবাইকে চাইনিজ কুড়াল ও রড দিয়ে মারধর করা হয়। এতে আমার শ্বশুড়, শাশুড়ি, শালা-শালী সবাই প্রচুর রক্তাক্ত অবস্থায় আহত করে।

ঐদিনই অর্থাৎ ১৬ জুন ২০২১ আমাদের করা মামলার আসামী স্থানীয় মেম্বার আলমগীর ও তার সঙ্গীরা আমার স্ত্রী ও পরিবারের সবাইকে আসামী করে একটি এফআইআর করে তা আদালতে জমা দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। ঐ দিন থেকেই আমার স্ত্রী, শ্বশুড়, শ্বাশুড়িসহ ৬ জন পলাতক।

সাংবাদিক সম্মেলনে ফ্রান্স প্রবাসী আলী নাজির মিজির পক্ষে তার স্ত্রী রোজিনা বলেন, আমরা দেশের সম্মান রক্ষার্থে এখন পর্যন্ত বিষয়টি ফ্রান্সের সরকারকে অবহিত করিনি। যদি উপর্যুক্ত দাবিগুলো বাস্তবায়ন না করা হয়, তাহলে বিষয়টি ফ্রান্সের সরকার, ফ্রান্সের জনগণ এবং ফ্রান্সের আদালতে বিষয়টি অবহিত করবো। এতে যদি ফ্রান্স সরকার বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগ করে, তাতে আমি, আমার পরিবার কেহই দায়ভার গ্রহণ করিব না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়