প্রকাশ : ২৫ আগস্ট ২০২১, ২০:৫৯
সিভিল সার্জনের আন্তরিকতায় চাঁদপুরে ‘ফাইজার’ ভ্যাকসিন
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে দেয়ার প্রস্তুতি চলছে
করোনার সংক্রমণ রোধে অধিক কার্যকরী ভ্যাকসিন ‘ভিআইপি টিকা’ খ্যাত ‘ফাইজার’ ভ্যাকসিন চাঁদপুরে এনে সংরক্ষণ করা এবং সে উপযোগী টিকাদান কেন্দ্র বর্তমানে প্রস্তুত না থাকার পরও সুযোগটি হাতছাড়া করতে চাচ্ছেন না চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে সিভিল সার্জনকে চাঁদপুরে ফাইজার ভ্যাকসিন সংরক্ষণ ও উপযোগী টিকাদান কেন্দ্রের সম্ভাব্যতা জানতে চেয়ে চিঠি দেয়ার পর সিভিল সার্জন ‘হ্যাঁ’-সূচক জবাব দিয়ে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি এর প্রস্তুতি কাজও শুরু করেছেন। এটি চাঁদপুরবাসীর প্রতি সিভিল সার্জনের ভালোবাসা স্বরূপ তাঁর আন্তরিকতা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
|আরো খবর
আমেরিকায় প্রস্তুতকৃত করোনার ভ্যাকসিন ‘ফাইজার’ টিকা বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার। চলতি মাসের শেষ দিক থেকে টিকাটি বাংলাদেশে আসার কথা। এই ভ্যাকসিনটির বিশেষত্ব হলো, এটিকে সংরক্ষণ করতে হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে এবং ডিপফ্রিজে। শুধু তাই নয়, টিকাদান কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিন বহন করার গাড়িটিও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হতে হয়। এজন্যে এটিকে অনেকে ভিআইপি টিকা বলে থাকেন। চাঁদপুরে এ ধরনের ভিআইপি ব্যবস্থাপনা একমাত্র চাঁদপুর শহরে একটি কেন্দ্রেই সম্ভব বলে জানিয়েছেন ইপিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পেছনে যে ইপিআই ভবন রয়েছে, এই ভবনের একটি রুমকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হবে। যেখানে রেজিস্ট্রেশনকৃতদের ফাইজার টিকা দেয়া হবে। ভবনের বর্তমান রুমগুলো থেকে একটিকে প্রস্তুত করা হবে। সে রুমটির জন্যে দুটি এসি লাগবে। এর জন্যে সরকারি কোনো বরাদ্দ না থাকলেও সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ সাখাওয়াত উল্লাহ স্থানীয়ভাবে এর ব্যবস্থা করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসের সাথে জানালেন ইপিআই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ। আর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ হিসেবে বর্তমানে যে কক্ষটি রয়েছে, সেটিকে এবং এই কক্ষের একটি ডিপ ফ্রিজকে ফাইজারের জন্যে নির্ধারণ করা হবে। এই প্রস্তুতি নিয়েই এগুচ্ছে চাঁদপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ। দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ হবে বলে জানা গেছে।
আরও জানা যায়, ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে ফাইজারের সব ভায়াল (বরাদ্দকৃত) চলে আসবে। চাঁদপুরে ১৫ সেপ্টেম্বরের আগে বরাদ্দ দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তাই সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চাঁদপুরে ফাইজার টিকা প্রদানের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তা অবশ্যই রেজিস্ট্রেশনকৃতদেরই দেয়া হবে। উল্লেখ্য, চাঁদপুরে অ্যাস্টোজেনেকা ও সিনোফার্ম এ দুটির ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে।