শনিবার, ০৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৩, ২২:১২

জলাবদ্ধতার কবলে মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্প

মাহবুব আলম লাভলু:
জলাবদ্ধতার কবলে মেঘনা - ধনাগোদা  সেচ প্রকল্প

জলাবদ্ধতার কবলে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মেঘনা - ধনাগোদা সেচ প্রকল্প। কয়েকদিনের অতিবৃষ্টিতে এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ফসল,বৃক্ষ ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পেটি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সেচ প্রকল্প। এ প্রকল্পটির মেঘনা-ধনাগোদা নদী দ্বার বেষ্টিত। পানি সেচ ও নিস্কাশনের মাধ্যমে অধিক ধান উৎপাদন করাই ছিল এ প্রকল্পের লক্ষ্যে। কিন্তু অতিবৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা ও অনাবৃষ্টিতে পানি সংকটে প্রকল্পের উদ্দেশ্যে বাস্তবায়িত হচ্ছে না।

১৯৭৯-১৯৮০ সালে মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের কাজ পুরোদমে শুরু হয়। ১৯৮৭-১৯৮৮ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। নির্মানের শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে পরপর দুই বার ১৯৮৭ ও ১৯৮৮ সালে বন্যার সময় বেড়িবাঁধটি ভেঙ্গে যায়। ১৯৯০ সালে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাধের কাজ সমাপ্ত হয়।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সুবিধা শুরুর পর থেকে কৃষকরা নানা সমস্যার সমূখিন হয়েছেন। তার মধ্যে অন্যতম হলো জলাবদ্ধতা।

প্রতি বছর বর্ষায় অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে প্রকল্প এলাকায় মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ময়লা-আবর্জনায় ও জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় বৃষ্টির পানি সড়তে পারছে না। যার কারনে এ মারাত্মক জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায় ফসলি জমি, বাড়ি,রাস্তা ও মৎস্য খামার।

কৃষকরা জানিয়েছেন, দখল ও সংস্কারের অভাবে পানি সড়ার খালগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি সড়তে না পারায় এই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এবার জলাবদ্ধতার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হবো। প্রতি বছরই জলাবদ্ধতার সৃস্টি হয়। ফলে অনাবাদী থাকে কয়েক হাজার একর জমি। এভাবে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় এ সেচ প্রকল্পটি আমাদের জন্যে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পটি বাস্তবমূখি করার জন্য পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট নূরুল আমিন রুহুল এমপি প্রকল্পটি ঢেলে সাজানোর কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ সেচ প্রকল্প মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উন্নয়নে ৩৪৭ কোটি ৬৫ লাখ ৬৯ হাজার টাকার সঃস্কার প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন হয়েছে।

মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবস্থাপনা ফেডারেশনের সভাপতি রাসেল ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী জানান,প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে সেচ প্রকল্পের ভিতরের মানুষ অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের উন্নয়নে একনেক সভায় যে টাকা অনুমোদন করিয়েছেন, সে উন্নয়নমূলক কাজ গুলো সঠিক ভাবে করা হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না ।

পাউবো কর্তৃপক্ষ জানান, নিষ্কাশন খাল গুলো সংস্কারের অভাবে ও মানুষের বিভিন্ন পর্যায়ে সৃষ্ট বাধায় অতি বৃষ্টির পানি দ্রুত সড়তে পারে না। যার কারণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেচ প্রকল্পের উন্নয়নে যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে পরিকল্পনা মাফিক কাজে গুলো শেষ হলে জলাবদ্ধতা থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়