প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ১৩:২৮
৮শ’কেজি ওজনের 'কালা রাজাবাবু'র মূল্য ৯ লাখ
আসন্ন ঈদুল আজহায় কচুয়ার কোরবানির হাটের চমক ‘কালা রাজাবাবু’। এর মালিক কচুয়া উত্তর ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামের কবির হোসেন (৫০)। তিনি দাবি করেন, ফ্রিজিয়ান জার্সি জাতের ষাঁড়টির ওজন ৮শ’কেজি। চার দাঁতের চার বছর বয়সী ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৯ লাখ টাকা।
ষাঁড়টিকে সন্তানের স্নেহে লালনপালন করেন কবিরের স্ত্রী ও তার সন্তানরা। প্রতিদিন সময়মতো খাবার দেওয়া, গোসল করানো এবং মশারি খাটানো তারাই করে থাকেন। তাই মা-ছেলের সঙ্গে রাজাবাবুর সখ্য একটু বেশি।
সরজমিনে গেলে দেখা যায়,কালা রাজা বাবুকে প্রতিদিন খেতে দিতে হয় দেশী ঘাস,চিড়া, কলা, খড়, ভুসি, চালের কুড়া ও আর্সেনিকমুক্ত পানি। তার থাকার ঘরে রয়েছে সিলিং ফ্যান। রয়েছে মশারিও।
প্রতিবেশী কাশেম জানান, ‘আমাদের এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় ষাঁড় কালা রাজাবাবু। এটি দেখতে বড়, গায়ের রং কালো। ষাঁড়টিকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিনই লোকজন এসে দরদাম করে যাচ্ছেন।’
কালা রাজাবাবুর মালিক প্রবাস ফেরত কবির হোসেন জানান, প্রায় ৪বছর পূর্বে শখের বশবর্তী হয়ে ফ্রিজিয়ান জার্সি জাতের একটি ষাঁড়ের বাচ্ছাটি কিনেন। বাড়িতে এনে আদর করে তার নাম রাখেন রাজাবাবু। দেখতে কালো হওয়ায় নামের আগে যোগ হয় কালা। তারপর থেকে ষাড়টির নাম রাখা হয় কালা রাজাবাবু। তিনি তার সন্তানদের মতোই ষাড়টিকে লালন পালন করতে থাকেন। বর্তমানে বেশ মোটাতাজা কালো রঙের এই ষাঁড়টির উচ্চতা ৬ফুট ও লম্বায় ১০ ফুট। যার ওজন ৮শত কেজি। আসছে কোরবানি ঈদের বাজারে তিনি তার শখের রাজাবাবুকে বিক্রি করবেন বলে ৯লাখ টাকা নির্ধারণ করেছেন। আগ্রহী ক্রেতাগণ তার গ্রামের বাড়ি কচুয়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর প্বার্শের মজুমদার বাড়িতে সরাসরি উপস্থিত হয়ে গরুটি দেখে ক্রয় করতে পারবেন বলে ষাঁড়ের মালিক জানান। তাছাড়া ষাঁড় সম্পর্কিত কোন তথ্য জানতে চাইলে কবির হোসেনের ব্যবহৃত ০১৮৮০-৯৯০১৮৩ অথবা ০১৮৭৫৭৭৩৯৩৬ মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার চাহিদার চেয়ে বেশি রয়েছে কোরবানির পশু। ওজনে ৪০০ কেজির ওপরে আছে শতাধিক গরু। এগুলোর বেশির ভাগই ফ্রিজিয়ান জাতের দেশি ক্রস।
ছবি: কচুয়ার কালা রাজাবাবু।