প্রকাশ : ২৯ মে ২০২৩, ২০:২৮
চাঁদপুর পৌরসভার টিএলসিসি সভা
চাঁদপুর পৌরসভা পঁচিশ শহর প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত
---------------মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল
তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামো উন্নতিকরণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চাঁদপুর পৌরসভার নগর সমন্বয় কমিটির (টিএলসিসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৯ মে সোমবার বেলা ১১টায় পৌরসভার পৌর পাঠাগার মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম ভূঁইয়া, নির্বাহী প্রকৌশলী এএইচএম শামসুদ্দোহা, পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ।
|আরো খবর
অনুষ্ঠানে শহরের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরে নাগরিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন টিএলসিসির সদস্য রোটাঃ কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর আত্মনিবেদিত মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপ, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক মাসুদা নুর খান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রুপালি চম্পক, চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত), ইউএনডিপির টাউন ম্যানেজার আব্দুল হান্নান। পৌর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মফিজউদ্দিন হাওলদারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন ডাকাতিয়া ক্লাস্টারের ক্যাশিয়ার শিল্পী ঘোষ, সদস্য বিলকিস আক্তার প্রমুখ।
সভায় নাগরিকবৃন্দ তাদের সমস্যা তুলে ধরেন। এরপর মেয়র জনগণের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। এ সভায় চাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ছাড়াও সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন। সভাপ্রধানের বক্তব্যে পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, বর্তমান পৌর পরিষদ বিগত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছে কিন্তু সন্তুষ্টি নেই। গত আড়াই বছরে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতো পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করা হয়েছে, যা বিগত সময়ের চেয়ে রেকর্ড। দৃশ্যমান নগর উন্নয়নে আমাদের মনোযোগ রয়েছে বিশেষ করে চাঁদপুর ছোট্ট শহর, সড়ক প্রশস্তকরণ সেটিই আমাদের মূল লক্ষ্য। ইতিমধ্যে অনেকগুলো সড়ক চিহ্নিত করে প্রশস্তকরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বাবুরহাট চৌরাস্তা, মিশন রোডের মাথা, চিত্রলেখা মোড়, নতুন বাজার মোড়, শপথ চত্বর, পুরাণবাজার লোহারপুল ও মধুসূদন স্কুল চত্বর তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
নাগরিকদের আশ্বস্ত করে পৌর মেয়র বলেন, চাঁদপুর পৌরসভা ২৫ শহর উন্নয়ন প্রজেক্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। ১০৬ কোটি টাকা আমরা পাবো। আশা রাখি রাস্তা প্রশস্তকরণ ১৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, শহরবাসীর হাঁটাচলার সুবিধার্থে ফুটপাত তৈরিসহ এই প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা অনেকগুলো কাজ করতে পারবো। গেল আড়াই বছর দীর্ঘ একটা সময় নয়। সামনের বছরগুলোতে নান্দনিক শহরের অনেককিছুই শহরবাসীর কাছে দৃশ্যমান হবে।
এছাড়া বঙ্গবন্ধু সড়ক হয়ে মৈশাদী পর্যন্ত ৩২ ফিট প্রশস্ত বিকল্প রাস্তা নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২৪ ফিটের রাস্তাও হবে। ইতিমধ্যে প্রজেক্ট জমা দিয়েছি। ইনশাল্লাহ এই প্রজেক্টেরও টাকা পেয়ে যাবো। মেয়র বলেন, প্রাক-বাজেট পূর্বক টিএলসিসির এই সভা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেয়র বলেন, জুন মাসের শেষ দিকে আমরা পরিকল্পিত নগর উন্নয়নের নতুন বাজে ট পেশ করা হবে। সেই বাজেট হবে বাস্তবমুখী বাজেট।