বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪  |   ২৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুরে রাজনৈতিক মামলায় আসামীদের আটক অভিযান অব্যাহত। যুবলীগ, কৃষকলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৫ নেতা-কর্মী আটক
  •   ছেঁড়া তারে প্রাণ গেল যুবকের
  •   চাঁদপুরে গণঅধিকার পরিষদের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
  •   রাজধানীতে কচুয়ার কৃতী সন্তানদের সংবর্ধনা
  •   সম্প্রীতির চমৎকার নিদর্শন আমাদের বাংলাদেশ --------------জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন

প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২১, ২১:১৯

চাঁদপুরে ভারত থেকে আনা নিম্নমানের ৬৪৫ টন চাল গুদামে

এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ চাল আমরা পাইনি : জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক

মিজানুর রহমান
চাঁদপুরে ভারত থেকে আনা নিম্নমানের ৬৪৫ টন চাল গুদামে
প্রতীকী ছবি

ভারত থেকে নিম্নমানের চাল আমদানির অভিযোগে চট্টগ্রাম বন্দরে একটি জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।কিন্তু যে পরিমান চাল অভিযোগ পাওয়ার আগে খালাস হয়েছিল সেখান থেকে ৬৪৫ মেট্রিক টন চাউল চাঁদপুরের গুদামে ঢুকেছে। এছাড়া চাঁদপুর ছাড়াও আরো কয়েক জেলার খাদ্য গুদামে উত্তোলন হয়েছে বলে জানা যায়। ভারত থেকে আমদানি করা ওই চাউল নিম্নমানের নাকি খাবার উপযোগী এ নিয়ে তোলপাড় চলছে।

এ বিষয়ে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু ভারপ্রাপ্ত বিসিএস খাদ্য জানান,চাঁদপুরে জেলায় ৬৪৫ টন ওই চাল তারা পেয়েছেন।৭ আগস্ট ৫০ কেজির ১২ হাজার ৯০০ বস্তা ইন্ডিয়ান চাউল ট্রাকযোগে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে চাঁদপুরের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ঢুকানো হয়।

তিনি বলেন, চাঁদপুর সিএসডিতে ৪০০ টনের মধ্য ৩১৫ টন, হাজীগঞ্জে ৪০০ টনের মধ্য ২২৫ টন,ফরিদগঞ্জ ১০০ টনের মধ্য ১৫ ট ও মতলব নায়েরগাঁও এলএসডিতে ১০০টনের মধ্য ১৫ টন পেয়েছে।কিন্তু এর ভেতর কোনো খারাপ চাল পাওয়া যায়নি। আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করে রেখেছেন।

তিনি আরো জানান, চট্টগ্রামের এসি জেটি আগেই আমাদের জানিয়েছিলো যদি খারাপ চাল যায়, সেগুলো আলাদা করে রাখা হয়। নির্দেশনা ছিল খারাপ বস্তা পাওয়া গেলে আলাদা করে রাখার পরে সেগুলো ফেরত নিবে।

এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ চাল আমরা পাইনি। এদিকে,চট্টগ্রাম খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২২ জুলাই ভারত থেকে ১৯ হাজার ২০০ টন সিদ্ধ চাল নিয়ে ‘এমভি ড্রাগন’ নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ওই চাল সরবরাহ করেছে ভারতের ‘ট্রিটন লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ ভেড়ার পর খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা চাল খালাসের নানা আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন। ১ আগস্ট খাদ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি (একজন সিনিয়র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট) ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। এরপর তা ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় গুণগতমান ভালো ও খাওয়ার উপযোগী বলে প্রতিবেদন দেওয়ার পর খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়। ৩ আগস্ট জাহাজ থেকে চাল খালাস শুরু হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ২ হাজার ৫০০ টন চাল খালাস হয়। ইতোমধ্যে খালাস হওয়া ওই চালের ট্রাক চাঁদপুরের সিএসডিসহ দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে গেছে।

এখন জনমনে প্রশ্ন চাঁদপুরে যে পরিমান চাল ঢুকেছে তা নিম্মমানের কিনা। বন্দরে খালাসের সময় আমদানি করা বেশির ভাগ চাল লালচে ও ঘোলা। এছাড়া কিছু কিছু চাল এতটাই নিম্নমানের, যা খাওয়ার অনুপযোগী।এ কারনে বাদ বাকী চাল জাহাজ থেকে খালাস বন্ধ করে দিয়ে জাহাজটি ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়