শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ২০ এপ্রিল ২০২৩, ২০:৪০

সোর্স পরিচয় জেলেদের নৌকার গেরাপি চুরি ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা, মালামাল উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
সোর্স পরিচয় জেলেদের নৌকার গেরাপি চুরি ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা,  মালামাল উদ্ধার

চাঁদপুর মেঘনা নদীর পাড় রাতের আঁধারে অসহায় জেলেদের নৌকার ২২ টি লোহার গেরাপি চুরি করে এনে বিক্রি করার ঘটনায় ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ। চাঁদপুর রকেট ঘাট ও পুরান বাজার রনাগোয়াল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯ টি নৌকার লোহার গেরাপি উদ্ধার করে পুলিশ।

জেলেরা বাদী হয়ে পুরাণবাজার রনাগোয়াল এলাকার লিটন গাজী সোর্স নাসির সোহেল সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চুরির এ মামলা হয় বলে জানা যায় ।

তবে ঘটনার পর থেকেই এই চুরির সাথে যারা জড়িত তারা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।

জাটকা নিধন রক্ষায় অভায়শ্রম ঘোষনা করার পর থেকে অভিযানের নামে মৎস্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে জাল নৌকা ও মাছ অন্যত্রে বিক্রি করার অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা।

চাঁদপুর গাছতলা ব্রিজের নিচে ডাঙ্গায় ছয়টি নৌকা উঠিয়ে রাখার পর সেখানে সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম ও ফ্রিজ সুপারভাইজার জামিল অভিযান চালায়। জেলেরা নদীতে অভিযান মেনে নৌকাগুলো উপরে উঠেয়ে রেখে বাড়িতে চলে যায়।

কিন্তূ মৎস্য কর্মকর্তার সেই নৌকাগুলো থেকে ২২ টি গেরাপি ও জাল রশি নিয়ে আসে। গেরাপিগুলো তিন নদীর মোহনায় ফেলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো সোর্স নাসির ,সোহেল ও স্পিড বোর্ডের ড্রাইভার আলী আহমেদ এর মাধ্যমে রকেট ঘাট এলাকার ভাঙ্গারের ব্যবসায়ী তাজুর কাছে বিক্রি করে ফেলে।

এই ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করে। খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই শাহজাহান রকেট গার্ড এলাকার রেলওয়ের পাম্প হাউজের পাশ থেকে ১৬ টি গেরাপি উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।

পরবর্তীতে জেলেদের খোয়া-যাওয়া জাল গেরাপি ও রশি রওনাগোয়াল এলাকায় বিক্রি করেছে এই তথ্য পেয়ে পুলিশ ৩টি গেরাপি ১টি জাল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে অভিযানের নামে মৎস্য কর্মকর্তারা সোর্সদের মাধ্যমে জেলেদের উপর নির্যাতন চালিয়ে নৌকা থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিচ্ছে। গত দুদিন পূর্বে অভিযানের নামে নৌকার সবকিছু নিয়ে গিয়ে সোর্সদের মাধ্যমে বিক্রি করার পর পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। সোর্স দক্ষিন গুনরাজদী নাসির পুরান বাজারের সোহেল ও স্পিড বোটের ড্রাইভার আলী আহাম্মদ অভিযান চলাকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ধরে বিক্রি করেছে। এই সোর্সদের মাধ্যমে জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয়।

এছাড়া পুরান বাজার এলাকার রনা গোয়াল এলাকার জনৈক লিটন গাজী জাটকা অভিযানে নদীতে নৌকার বহর পরিচালনা করে। সে নৌ পুলিশের নাম ভাঙিয়ে প্রায় দুই শতাধিক জেলে নৌকা থেকে টাকা উঠিয়ে ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছে।

তাকে গ্রেফতার করলেই এর সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের নাম বেরিয়ে আসবে।এই ঘটনায় যারা অপরাধী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়