প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ২১:৩১
সোর্স পরিচয় জেলে নৌকার নোঙ্গর চুরি, উদ্ধার করল পুলিশ
চাঁদপুরে রাতের আঁধারে অসহায় জেলেদের নৌকার ২২ টি নোঙ্গর চুরি করে এনে বিক্রি করার সময় ১৬ টি উদ্ধার করেছে মডেল থানা পুলিশ। এছাড়া জেলেদের জাল ও রশি সোর্সের কাছ থেকে ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে আটক হয়েছে এক ক্রেতা।
চাঁদপুর সদরে জাটকা নিধন প্রতিরোধ অভিযানের নামে মৎস্য অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সোর্সের মাধ্যমে জাল নৌকা ও মাছ অন্যত্রে বিক্রি করার অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা।
চাঁদপুর গাছতলা ব্রিজের নিচে ডাঙ্গায় ছয়টি নৌকা উঠিয়ে রাখার পর সেখানে কোস্ট গার্ডের সহযোগিতায় সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম ও জামিল অভিযান চালায়। জেলেরা নদীতে অভিযান মেনে নৌকাগুলো উপরে উঠেয়ে রেখে বাড়িতে চলে যায়।
কিন্তু নদীতে চলমান অভিযানের সময় জেলে নৌকাগুলো থেকে ২২ টি নোঙ্গর ও জাল রশি নিয়ে আসা হয়। নোঙ্গরগুলো তিন নদীর মোহনায় ফেলে দেওয়ার কথা থাকলেও সেগুলো কোস্টগার্ডের সোর্স নাসির ,সোহেল ও স্পিড বোর্ডের ড্রাইভার আলী আহমেদের মাধ্যমে বিক্রি করে ফেলে।
চাঁদপুর রকেট ঘাট এলাকার ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী তাজুর কাছে নোঙ্গরগুলো বিক্রি করে টাকা ভাগাভাগি করে নেয় ।
এই ঘটনা ক্ষতিগ্রস্ত জেলেরা জানতে পেরে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশকে অবগত করে। খবর পেয়ে মডেল থানার এসআই শাহজাহান চাঁদপুর স্টিমার রকেট ঘাট এলাকার রেলওয়ের পাম্প হাউজের পাশ থেকে ১৬ টি জেলে নৌকার নোঙ্গর উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসে।
পরবর্তীতে জেলেদের খোয়া-যাওয়া জাল নোঙ্গর ও রশি রনাগোয়াল এলাকায় বিক্রি করেছে এমন তথ্য পুলিশকে জানালে একজনকে মালামালসহ আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, নদীতে অভিযানের নামে মৎস্য কর্মকর্তারা সোর্সদের মাধ্যমে জেলেদের উপর নির্যাতন চালিয়ে নৌকা থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিচ্ছে। গত দু'দিন পূর্বে অভিযানের নামে নৌকার সবকিছু নিয়ে গিয়ে সোর্সদের মাধ্যমে বিক্রি করার পর পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে। কোস্টগার্ড সোর্স পরিচয়ে দক্ষিন গুনরাজদীর নাসির পুরান বাজারের সোহেল ও স্পিড বোটের ড্রাইভার আলী আহাম্মদ অভিযান চলাকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ধরে বিক্রি করেছে। এই সোর্সদের মাধ্যমে জেলেদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরার সুযোগ করে দেয় বলে এমন অভিযোগও উঠেছে।
এই ঘটনায় যারা অপরাধী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান।
এই ঘটনায় কোস্ট গার্ড গণমাধ্যমকে জানান, গাছতলা এলাকায় ডাকাতিয়া নদীতে মৎস্য কর্মকর্তা তানজিমুল ইসলাম ও জামিল কোস্টগার্ডের সহযোগিতায় অভিযান চালায় । সেখান থেকে জাল নোঙ্গর উদ্ধার করে মৎস্য কর্মকর্তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তারা সেগুলো কি করেছে তাদের জানা নেই।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত মৎস্য কর্মকর্তা মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার ফোন করলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।